স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার জাফরপুরে আয়েশা খাতুন (১৯) নামে এক নারীকে বেধড়ক পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে তারই প্রাক্তন স্বামী হামিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ওই নারীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহত আয়েশা খাতুন জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের ডাক্তারপাড়ার বাবুল আলীর মেয়ে এবং একই উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের হামিদুল ইসলামের প্রাক্তন স্ত্রী। গতকাল শুক্রবার সন্ধার আগে এ ঘটনা ঘটে। আহত আয়েশা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, গত ৯ মাস আগে হামিদুল ইসলামের সঙ্গে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক আমাদের বিবাহ হয়। বিয়ের পর জানতে পারি আমার স্বামী নেশাগ্রস্থ। এ জন্য গত দেড়মাস আগে আমাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। গতকাল বিকেলে আমি চুয়াডাঙ্গা জাফরপুর বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন আমার খালার বাড়ি বেড়াতে আসি। সেখানে আমি আমার প্রাক্তন স্বামীর এক বন্ধু আমাদের কেনো ডিভোর্স হলো সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। আমি তাকে নেশাগ্রস্থের পুরো ঘটনা খুলে বলি। এরপর প্রাক্তন স্বামীকে ফোনে নেশাগ্রস্থের বিষয়ে বললে সে জাফরপুরে এসে আমাকে হাত দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে আমার শরীরের বিভিন্নস্থানসহ নাক ফেটে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় আমার খালারা আমাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানায় ভুক্তোভোগী আয়েশা খাতুন। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. উৎপলা বিশ্বাস বলেন, আয়েশা খাতুনের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। তার নাকে দুটি সেলাই প্রদান করা হয়েছে। তিনি শঙ্কামুক্ত। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, এমন কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।