জীবননগরে কলেজছাত্রীসহ ৩ সাংবাদিকের ৫ লাখ টাকার অর্থ বাণিজ্য!

জীবননগর ব্যুরো: দীর্ঘদিন চলে আসা সেই সেøাক ‘ধূতি নষ্ট-পুতি নষ্ট, অষ্ট গোন্ডা পয়সা নষ্ট-আরো বাড়লো মনো কষ্ট’ এই দশায় পরিণত হয়েছেন জীবননগর শহরের বিশিষ্ট এক ওষুধ ব্যবসায়ী (৫৮)। ২ সন্তানের জনক ওই ওষুধ ব্যবসায়ী এক কলেজ ছাত্রীর সাথে প্রেমময় সম্পর্ক করে এখন চরম বেকায়দায় পড়েছেন। ঘটনা ধামা চাপা দিতে গিয়ে তিনি ইতোমধ্যে ৫ লাখ টাকা গচ্চা দিয়েছেন। কিন্তু ঘটনা ধামাচাপা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। ৫ লাখ টাকার পুরোটাই এখন ৩ সাংবাদিকদের দখলে। ওই ৩ সাংবাদিক ঘটনা ধামাচাপা দিকে দূতিয়ালী করছিলেন। কিন্তু কলেজ ছাত্রী একাই ৫ লাখ টাকা দাবি করায় তাকে তার ভাগের সাড়ে ৩ লাখ টাকা আর পাননি। এ অবস্থায় ওই কলেজ ছাত্রী এবং ওষুধ ব্যবসায়ী এখন হায়-হায় করে ওই সাংবাদিকের দুয়ারে ধর্ণা দিচ্ছেন। গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিষয়টি শহরের মানুষের মুখে মুখে মুখোরোচক হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি ‘টক অব দ্য টাউনে’ পরিণত হয়েছে।
জানা যায়, জীবননগর উপজেলার হাসাদাহের এক মুরগী ব্যবসায়ীর মেয়ে জীবননগর সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের ছাত্রী। ঘটনাক্রমে ওই ছাত্রীর সাথে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে জীবননগর শহরের এক বিশিষ্ট ওষুধ ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে চলে আসছিলো আলো-আঁধারীর খেলা। হঠাৎ করে তাদের সেই সম্পর্কে চির ধরে। বিষয়টি জানতে পারেন এক সাংবাদিক। বিপদ আঁচ করতে পেরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওষুধ ব্যবসায়ী ওই সাংবাদিককে ধরেন। এ সময় ওই সাংবাদিকদের সাথে যোগদেন আরও ২ সাংবাদিক। ঘটনা ধামাচাপা দিতে রফা হয় ৫ লাখ টাকা। ৫০ হাজার করে ৩ সাংবাদিক নেন দেড় লাখ আর ওই কলেজছাত্রীকে দেবেন সাড়ে ৩ লাখ। সব ঠিকঠাক মতো চললেও চূড়ান্ত দিনে এসে ওই কলেজ ছাত্রী বেঁকে বসেন। তিনি একাই দাবি করেন ৫ লাখ টাকা। ফলে সাড়ে ৩ লাখ টাকা না নিয়ে ওই কলেজ ছাত্রী রেগে-মেগে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান। ফলে ৫ লাখের পুরো টাকাটায় ওই সাংবাদিকদের দখলে রয়েছে এমনটিই প্রচার পেয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ লোক মুখে ছড়িয়ে পড়লেও এর কোন সত্যতা অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। তবে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তি বিষয়টির তদন্তে মাঠে রয়েছে বলে জানা গেছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More