জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলায় চলতি অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বরাদ্দকৃত অর্থের চেক বিতরণ করা হয়েছে। জীবননগর উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিসের আয়োজনে গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১০টায় ৮৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়। জীবননগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি মো. আলী আজগার টগরের প্রতিনিধি হিসেবে তার সহোদর দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলী মুনছুর বাবু প্রধান অতিথি হিসেবে এ চেক বিতরণ করেণ। চেক বিতরণের আগে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি মো. আলী আজগার টগরের অসুস্থতার কারণে তার রোগ মুক্তিতে দোয়া করা হয়। জীবননগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মো. আলী মুনছুর বাবু বলেন, আমরা যারা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি তারা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে পদ্মা সেতু তৈরি হতে দেখেছি। বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকেও দেশের উন্নয়নে তাদের কোনো ভূমিকা ছিলো না। জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা যখন দেশের ১৯টি জেলার মানুষের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে পদ্মা সেতু তৈরি করতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলেন। ঠিক তখনই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে তা বানচাল করতে যড়যন্ত্র শুরু করে।
পদ্মা সেতু তৈরিতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করার ঘোষণা দিলে যড়যন্ত্রকারীদের মদদপুষ্ট ড. ইউনুস বিদেশে বসে যড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেন। যেখানে সেতু তৈরির জন্য বিশ্বব্যাংক কোনো অর্থ ছাড় করলো না অথচ সেতু তৈরিতে দুর্নীতি হয়েছে বলে অপপ্রচার করে অর্থায়ন বন্ধ করার ঘোষণা দেন। তিনি আরও বলেন, জাতির জনকের কন্যা বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করার ঘোষণা দেন। শুধু তাই নয় আজ এই দেশের জনগনের অর্থে তৈরি হয়েছে পদ্মা সেতু। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পর দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ যেমন অর্থনৈতিকভাবে নিজেরা স্বাবলম্বী হবে; তেমনি দেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হওয়ার পথে নতুন এক যাত্রা শুরু করলো। চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি মো. হাফিজুর রহমান, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মুক্তার প্রমুখ। বরাদ্দকৃত এ টাকা দিয়ে মসজিদ, ঈদগা এবং কবরস্থানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে।