জীবননগর বাঁকায় ভৈরব নদের মাটি নিতে ব্যর্থ হলেন নেতারা

জীবননগর ব্যুরো: খনন কাজ চলছে ভৈরব নদের। জীবননগর উপজেলার বাঁকা গ্রামের অংশে চলছে এ খনন কাজ। ভেকু দিয়ে তোলা মাটি নদের উভয় পাশের কৃষি জমি ও বসত বাড়ির পাশে স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। এই মাটির স্তুপে নজর পড়েছে ক্ষমতাশীন দলের স্থানীয় এক মাটি খেকো নেতা ও তার চক্রের। কিন্তু জনতার প্রতিরোধের মুখ মাটি লুটের কাজ ব্যর্থ হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জনতার প্রতিরোধের মুখে চক্রটি মাটি কাটা ও বহনের সরঞ্জমাদি নিয়ে সটকে পড়ে। পুলিশ এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে বাড়ি পাঠায়।

জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে ভরাট হওয়া নাব্যতা হারানো ভৈরব নদ খনন করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। ঠিকাদারের মাধ্যমে এ কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। যশোরের চাকলাদার কন্সট্রাকশন এ কাজের ঠিকাদার  পেয়েছে। নদ খনন করে নদের দুই পাশ বাঁধাই করার পর উতবৃত্ত মাটি পাড়ের পাশে স্তুপ করে রাখার কখা। সেই ভাবেই কাজ শুরু হলে ক্ষমতাশীন দলের স্থানীয় এক নেতাসহ মাটি খেকো চক্রের নজরে পড়ে ওই মাটি।

চক্রটি মাটি নিতে চাষকৃত ফসলি জমি বিনষ্ট করে রাতারাতি রাস্তা তৈরী করে। এর ফলে কৃষকের ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে নদের দুই পাড়ের মানুষ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বাঁকা গ্রামের ভৈরব নদ সংলগ্ন আম বাগানে স্থানীয় জনতা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে দাঁড়ায় গ্রামবাসী। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম ও ওসি আব্দুল খালেককে ঘটনাটি জানানো হয়। প্রশাসন ও পুলিশ তড়িৎ পদক্ষেপে নিতে উত্তেজিত জনতা শান্ত হয় এবং ভেকু মেশিন নিয়ে সটকে পড়ে। প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে বাঁকা গ্রামবাসী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ৪দিন ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা বৈঠক করে রাতের আধারে ভৈরব নদ খননের মাটি বিক্রি করার পরিকল্পনা করে। তাদের বৈঠকে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মাটি বিক্রির কাজে সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। কিন্তু ওই বৈঠকে উপস্থিত নেতাকর্মীরা এই কাজে বাধ সাধে। তাতে নিরাশ না হয়ে ওই দুই নেতা কর্মীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে রাজিও করান। শনিবার সন্ধ্যায় মাটি বিক্রি করার সব পরিকল্পনা শেষে ভেকু মেশিন ও ট্রাক্টর ভিড়িয়ে মাটি পাচারকালে গ্রামবাসী প্রতিরোধ সৃষ্টি করে।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম জানান, নদী খননের মাটি বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই। কাজ শেষ হওয়ার পর উদ্বৃত্ত মাটি সরকারি নিয়মনীতি মেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More