২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ১১ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৩৯ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ এক হাজার ৩৪ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৬৯১ জনে। এছাড়া এই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২৫২ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯০২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে দেশের বিভিন্ন জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হলো— ঢাকা ৬,৮৬৮, নারায়ণগঞ্জ ১,১৭৭, গাজীপুর ৩৩৩, ময়মনসিংহ ২২১, চট্টগ্রাম ২২০, মুন্সীগঞ্জ ২১৬, কিশোরগঞ্জ ২০২, কুমিল্লা ১৭১, নরসিংদী ১৭১, রংপুর ১২৮, জামালপুর ১১০, কক্সবাজার ৮৩, যশোর ৭৯, হবিগঞ্জ ৭৩, নেত্রকোনা ৬৮, লক্ষ্মীপুর ৫৮, শরীয়তপুর ৫৭, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫৭, গোপালগঞ্জ ৫৬, চাঁদপুর ৫৫, মাদারীপুর ৫৪, বরিশাল ৫৪, দিনাজপুর ৪২, জয়পুরহাট ৪২, নীলফামারী ৪১, সুনামগঞ্জ ৩৮, ঝিনাইদহ ৩৮, বরগুনা ৩৭, সিলেট ৩৬, শেরপুর ৩৬, কুড়িগ্রাম ৩৪, মৌলভীবাজার ৩৩, টাঙ্গাইল ৩১, নোয়াখালী ৩০, মানিকগঞ্জ ২৮, পটুয়াখালী ২৮, রাজশাহী ২৬, গাইবান্ধা ২৫, নওগাঁ ২৫, ফরিদপুর ২৪, চুয়াডাঙ্গা ২৩, রাজবাড়ী ২৩, ঠাকুরগাঁও ২৩, কুষ্টিয়া ২১, খুলনা ২০, পাবনা ১৮, বগুড়া ১৮, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১৪, লালমনিরহাট ১৩, ঝালকাঠী ১৩, নড়াইল ১৩, নাটোর ১৩, মাগুরা ১২, পঞ্চগড় ১০, ফেনী ৮, পিরোজপুর ৭, ভোলা ৭, সিরাজগঞ্জ ৬, মেহেরপুর ৫, বান্দরবান ৪, সাতক্ষীরা ৪, রাঙ্গামাটি ৪, বাগেরহাট ৩ ও খাগড়াছড়ি ৩ জন।
সোমবার (১১ মে) রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা ভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, নতুন সংযুক্ত একটিসহ মোট ৩৭টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় পূর্বের কিছু নমুনাসহ মোট ৭ হাজার ৮০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর নতুন করে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৭ হাজার ২৬৭টি। এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৮৬৫টি।
উল্লেখ্য, দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে আইইডিসিআর। তার ১০ দিন পর দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় একজনের। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও গত কয়েকদিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা।