স্টাফ রিপোর্টার: সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। মাদকের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারাই জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে নির্দেশও দেয়া হয়েছে। সে মোতাবেক কাজও করছে প্রশাসন। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচার প্রচারণা এমনকি সংশোধনেরও সুযোগ দেয়া হয়েছে মাদককারবারীদের। এতোকিছুর পরও থেমে নেই বেগমপুর বিলপাড়া এবং দোস্ত আমতলার মাদককারবারীদের মাদক কারবার। চোখ কান খোলা রেখে নয়া কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছে ফেনসিডিলের কারবার।
মাদককারবারীরা দেশ ও জাতির শত্রু। বিষয়টি উপলব্ধি করে বর্তমান সরকার মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছে। সে মোতাবেক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন পর্যায় থেকে মাদক নির্মূলে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই জেলার কোথাও না কোথাও মাদক উদ্ধারের পাশাপাশি গ্রেফতার হচ্ছে মাদককারবারীরাও। এতোকিছুর পরেও থেমে নেই চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের বিলপাড়ার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে শাজাহান, সিরাজ মিস্ত্রীর ছেলে আব্দুল হান্নান, সিরাজ মিস্ত্রীর জামাই আব্বাচ, কোনলী বাজার পাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে শাহিন, দোস্ত আমতলা পাড়ার শাহাবদ্দিনের ছেলে আকতার হোসেন, ফারুক হোসেনের ছেলে মামুন, আরশাদের ছেলে রফিকের ফেনসিডিলের কারবার। দিনে সাদা পোশাকে ঘুরে বেড়ালেও একাধিক মোবাইল সিম ব্যবহার করে নয়া কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছে এ কারবার। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, এরা স্থানীয় পর্যায়ে ফেনসিডিল বিক্রি করে না। সীমান্তের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ফেনসিডিল সংগ্রহ করে ঢাকা শহরে নিয়ে যায়। আর এসবকালে কোলে শিশু আছে এমন নারী এবং বেকার যুবক ছেলেদের মোটরসাইকেল দিয়ে ব্যবহার করে। বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল। এ ব্যাপারে ফেনসিডিলকারবারী কয়েকজনের সাথে কথা বলা হলে তারা বলেন, এক সময় মাদকের সাথে জড়িত ছিলাম, বর্তমানে নেই। একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে পূর্বের সূত্র ধরে অপপ্রচার চালাচ্ছে।