স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী ভ্রাতৃত্ব এবং পারস্পরিক সম্প্রীতি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারত সেনাবাহিনীর যৌথ সাইক্লিং অভিযান শুরু হয়েছে। ৩৯ সদস্যের যৌথ সাইক্লিং দলটি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় দর্শনা সীমান্তে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০ সদস্যের যৌথ সাইক্লিং দলকে উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সতেজ ত্রিবেদীসহ চৌকস দল। এর আগে গত সোমবার যৌথ সাইকেল র্যালিটি যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর জেলা এবং মুজিবনগর পরিদর্শন শেষে বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গাতে আসেন এবং সার্কিট হাউজে রাত্রিযাপন করেন।
দর্শনা চেকপোস্টে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে যশোর সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের কর্নেল মহতাসিম হায়দার চৌধুরী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরহাদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সোহেল ও দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমা আক্তার ভারতীয় সেনাবাহিনী দলকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান। যৌথ সাইকেল র্যালিটি ভারতীয় অংশে প্রবেশ করলে তাদের যৌথ সাইকেল র্যালির সদস্যদের অভ্যর্থনা জানান ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সতেজ ত্রিবেদী র্যালিটি। ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে কৃষ্ণনগর, কল্যাণী, রানাঘাট হয়ে কলকাতায় ফ্লাগইন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হবে। এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০ জন সদস্য আগামী ২৬ নভেম্বর বেনাপোল হয়ে দেশে ফিরবেন।
যশোর সেনানিবাসের স্টাফ অফিসার মেজর মো. জাকারিয়া জানান, গত ১৫ নভেম্বর সোমবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্ণেল মুহিত সিংয়ের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি চৌকস দল সাইকেল র্যালি সহকারে যশোর সেনানিবাসে পৌঁছায়। সেখানে ফ্লাগ অব সিরিমনি শেষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর মাহমুদুল আফজালের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের একটি টিম র্যালিতে যোগ দেয়। তিনি আরও বলেন, এই সাইকেলিং অভিযানের মাধ্যমে দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এছাড়া, দু’দেশের মধ্যে স্বাধীনতার এই সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমরা যেনো একসাথে ভবিষ্যতে কাজ করতে এ বিষয়টি উঠে আসবে।