প্রকল্পের কাজ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার সময় ভাংবাড়িয়ার প্রতারক মনি আটক

 

আসমানখালী প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার ভোগাইল বগাদী গ্রামের তিন দরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে এলজিডি’র আরএমপি প্রকল্প-৩ এ কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার সময় ভাংবাড়িয়া গ্রামের মহির হোসেন মনিকে আটক করেছে এলাকার লোকজন। আটক মনি ভাংবাড়িয়া গ্রামের মৃত হোসেন আলী কারিগরের ছেলে। তাকে গতকাল সোমবার বেলা ৫টার দিকে ভোগাইল বগাদী গ্রামের মাদরাসাপাড়ার আজিজুল হকের বাড়ি থেকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে আজিজুল হকের স্ত্রী আশুরা খাতুন বলেন আমরা গরিব মানুষ রাস্তায় মাটি কাটা কাজ করি। মহির আমাদেরকে এলজিডি’র আরএমপি প্রকল্প-৩ এ তিন বছর মেয়াদী রাস্তায় মাটি কাটার কাজ দেবে বলে আমাদের গ্রামের মৃত মুনছার আলীর স্ত্রী মাহিরণ নেছা ও খেদ আলীর স্ত্রী কাঞ্চন খাতুনের এই তিন জনের কাজ দেবে বলে জোন প্রতি ১৩ হাজার টাকা করে চাই, আর আজ আমাদের কাছ থেকে ৬শ’ ২৫ টাকা করে নিয়েছে বই তৈরি করার বাবদ, মাহিরন বলেন আমি বয়স্ক তাই আমি সে ভাবে কাজ করতে পারিনি তাই রাস্তায় মাটি কাটা কাজ করতে গেলে পরিশ্রম কম হবে ভেবে তাকে আমি টাকা দিয়েছি, কাঞ্চন খাতুন বলেন আমরা যে টাকা দিচ্ছি বিষয়টি আমি আমার পরিবারকে জানিয়েছি এবং আমার পরিবারের লোকজন এসে দেখে মহিরকে দেখে চিনে ফেলেছে মহির এর আগে আমাদের গ্রামের ২ পরিবারের কাছ থেকে ১৩ হাজার নিয়েছে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দিবে বলে। সে কোনো কার্ড করে দিতে পারেনি, তখন আমরা আমাদের গ্রামের মেম্বার নাজমুল হোসেনকে বিষয়টি জানায় এবং মহিরকে সেখানে বসিয়ে রাখি। পরে মেম্বারসহ গ্রামের অন্যান্য মানুষ এসে মহিরকে চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যায়। মহির হোসেন বলেন আমাকে এলজিডি’র কর্মকর্তা আব্দুর রহিম এদের কাছ থেকে টাকা নিতে বলেছে তাই আমি টাকা নিতে এসেছি। এলজিডি কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন আমি মহির হোসেন ওরফে মনি কারীগর নামের কাওকে চিনিনা আর কোনো ব্যাক্তির কাছ থেকে আমি টাকা নিতে বলিনি। ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান ও ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেনসহ অন্যান্যরা এসে মহির হোসেনকে মুসলেকা দিয়ে নিয়ে গেছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More