মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরে সু-বিচার ও বারংবার মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা হতে অব্যাহতির জন্য জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছেন আব্দুল হান্নান নামের একজন। আব্দুল হান্নান মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের মৃত আফেল উদ্দিনের ছেলে। গতকাল সোমবার বিকেলে মেহেরপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুল হান্নান বলেন, বিএনপি জামায়াত মাদক ব্যবসায়ী দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর রাতে একটি দোকানে বসা অবস্থায় বামদী পুলিশ ক্যাম্প এসআই মকবুল ও আর ওয়ান মোস্তফা আহম্মেদসহ ৪ জন পুলিশ সদস্য আমাকে আকড়ে ধরে। পরে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে একটি মাইক্রোবাসে তোলে। এসময় আমার কাছে থাকা ৮৩ হাজার টাকা কেড়ে নেয় এসআই মকবুল। পরে একটি মাঠের ভেতর নিয়ে গিয়ে আর ওয়ান মোস্তফা আমাকে বলে ১০-১২ লাখ টাকা দিতে পারবি কিনা বল। তখন আমি বলি আমার কাছে ৮৩ হাজার টাকা ছিলো সেটা মকবুল স্যার কেড়ে নিয়েছে। আমার কাছে আর টাকা নেই। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমাকে থানায় হস্তান্তর করে। আমার সাথে আরও দুজন আসামি ছিলো। পর দিন আমাকে ছেড়ে দেয়া হবে বলে আমার বড় ভাই মুন্নাতের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নেয় আর ওয়ান মোস্তফা। তারপরও আমাকে অস্ত্র ও গাঁজা মামলায় চালান করা হয়। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর সুবিচার পাওয়ার জন্য ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ মানবাধিকারের মাধ্যমে মামলার কাগজপত্রাদিসহ প্রশাসনিক উচ্চ মহলে আবেদন করি। একই বছর ৮ জুলাই মেহেরপুর আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করি। বর্তমানে মামলাটি মেহেরপুর সিআইডির তদন্তধীন আছে। আমার সিআর মামলার আসামিরা একই বছর ২ ডিসেম্বর আমার নামে পুনরায় জিআর মামলা দায়ের করেন। এরপর বিভিন্ন কায়দায় আমার নাম ফাইনাল চার্জশিটে যোগ করে দেয়। এমতাবস্তায় মেহেরপুর জিআর ৩১৮/১৮, ৩১৯/১৯ ও ২৭৩/১৯ মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি। মেহেরপুর প্রেসক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাধারণ সম্পাদক আলামিন হোসেনসহ মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ