স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় সাপের কামড়ে অঞ্জনা বেগম (৩০) নামের এক নারী আহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তার স্বজনরা। এ সময় রোগীর সঙ্গে মৃত সাপটিকেও হাসপাতালের চিকিৎসকের নিকট নিয়ে যান তার স্বজনরা। গতকাল রোববার বেলা ২টার দিকে উপজেলার জয়রামপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে কাজ করার সময় এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সাপটি দেখতে ভিড় করে চিকিৎসা নিতে আসা অন্য রোগী ও তাদের স্বজনরা। আহত অঞ্জনা বেগম চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের ব্যবসায়ী জাহিদ হাসানের স্ত্রী। সাপটির নাম বেত আঁচড়া বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার পরিবেশবাদী সংগঠন ‘পানকৌড়ি’র প্রতিষ্ঠাতা ও স্কুলশিক্ষক বখতিয়ার হামিদ। তিনি দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, বেত আঁচড়া সম্পূর্ণ বিষহীন। ভয়ের কিছু নেই। প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে যাবেন।
অঞ্জনা বেগমের স্বামী জাহিদ হাসান দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, রোববার দুপুরে আমার বাবা মাঠ থেকে জ্বালানির জন্য কিছু বাঁশ নিয়ে আসেন। আমার স্ত্রী সেই বাঁশগুলো রান্না ঘরে রাখছিলেন। এ সময় বাঁশের মধ্যে থাকা একটি সাপ তার হাতের তালুতে কামড় দেয়। পরে দ্রুত আমার স্ত্রীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। পাশাপাশি চিকিৎসার সুবিধার্থে সাপটিও সঙ্গে করে নিয়ে আসি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াদেহ মাহমুদ রবিন দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, দুপুরে সাপের কামড়ে আহত এক নারীকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তার পরিবারের সদস্যরা। একটি মৃত সাপও সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আপাতত তিনি শঙ্কামুক্ত বলে ধারণা করছি।
চুয়াডাঙ্গার পরিবেশবাদী সংগঠন ‘পানকৌড়ি’র প্রতিষ্ঠাতা বখতিয়ার হামিদ বলেন, সাপটির নাম বেত আঁচড়া। যার ইংরেজি নাম ‘ব্রোঞ্জ ব্যাক ট্রি স্নেক’। এই সাপ সম্পূর্ণ বিষহীন। ভয়ের কিছু নেই। ওই নারী প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে যাবেন বলে আমার ধারণা। তিনি আরও বলেন, এ সাপ মূলত গাছে থাকে। অনেক ‘লাউ ডোগা’ ভেবে ভুল করেন। এরা চঞ্চল প্রকৃতির। এরা মানুষ দেখলে দ্রুত বেগে পালিয়ে যায়। অনেক সময় পালানোর পথ না পেলে দংশন করে।