সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের অবতারণা করলো সীমান্তরক্ষীরা

মুজিবনগর সীমান্তে লাশ দেখানোর আয়োজন

মুজিবনগর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের মুজিবনগর সীমান্তের স্বাধীনতা সড়কের ১০৫ নং পিলারে শূন্য রেখায় বাংলাদেশি স্বজনদেরকে ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ দেখানোর ব্যবস্থা করলো বিজিবি-বিএসএফ। গতকাল শনিবার বিকেলে স্বাধীনতা সড়কের শূন্যরেখার বেলতলায় সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণভাবে লাশ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। মুজিবনগর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার শহিদ শেখ ও বিএসএফ এর ভারতের চাপড়া থানার হৃদয়পুর ক্যাম্প কমান্ডার তরুণ কুমার শর্মার নেতৃত্বে বিজিবি-বিএসএফ’র দুটি টিম এ শূন্য রেখায় উপস্থিত ছিলেন। বিজিবি’র মুজিবনগর ক্যাম্প কমান্ডার শহিদ শেখ জানান, ভারতের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার হৃদয়পুর গ্রামের সুকৃতি ম-ল ৩৫ বছর আগে থেকে বৈবাহিক সূত্রে সেখানে বসবাস করছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছিলেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে তার ভাই মুজিবনগর উপজেলার ভবেরপাড়া গ্রামের প্রভুদান হালসোনা স্থানীয় ইউপি সদস্য সেবাস্তিন মল্লিকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে আবেদন করেন। বিজিবি আবেদন পেয়ে বিএসএফকে লাশ দেখানোর ব্যবস্থা করার জন্য পত্র দেয়। উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সমন্বয়ে গতকাল শনিবার বিকেলে শূন্য রেখায় স্বজনদের লাশ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউপি সদস্য সিবাস্তিন মল্লিক জানান-আমি খবর পেয়ে মুজিবনগর বিজিবিকে জানালে তারা আমাকে আশ্বস্ত করেন এবং গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা বিজিবি-৬ ও বিএসএফ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বজনদের দেখানোর সুব্যবস্তা করেন। তিনি দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ধন্যাবাদ জানান। সুকৃতি ম-লের ভাইয়ের ছেলে জানান-আমার পিসির মরদেহ দেখতে পাবো সেটা আমরা ভাবিনি। পিসিকে শেষবারের মত দেখতে পেয়ে খুব ভাল লাগছে এবং দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভারতীয় নাগরিক জুম্মত শেখ বলেন-এভাবে সুকৃতি মন্ডলের লাশ তার আত্বীয় স্বজনদের দেখানো খুবই ভালো একটা দিক। এভাবেই দুই দেশের সম্পর্ক আরো মজবুত হবে বলে তিনি মনে করেন। দুই দেশের সীমন্তবর্তী মানুষের সম্পর্ক উন্নয়ন ঘটানো ও অপরাধ প্রবণতা কমাতে বিজিবি-বিএসএফের এ ধরণের মানবিক কার্যক্রম সীমান্তবর্তী মানুষের মাঝে নতুন বার্তা বয়ে আনবে বলে জানান দু’দেশের সীমান্তবর্তী গ্রামবাসী। চুয়াডাঙ্গা বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক শাহ মো. ইশতিয়াক বলেন, দুই দেশের সীমন্তবর্তী মানুষের সম্পর্ক উন্নয়ন এবং অপরাধ প্রবণতা কমাতে বিজিবি-বিএসএফ এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More