প্রবাসীরা দেশের অর্থনৈতিক মুক্তিযোদ্ধা। আর মানব পাচারকারীরা মানবতাবিরোধী…………… ড.সুকমল বডুয়া

লিবিয়া প্রবাসী গণহত্যায় জড়িত মানব পাচারকারীদের শাস্তি ও নিহত পরিবার গুলোকে লিবিয়া সরকার কর্তৃক উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবী উঠেছে। এ দাবিতে এশিয়া মানবাধিকার সংস্থা আয়োজিত মানব বন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. সুকমল বডুয়া (একুশে পদকপ্রাপ্ত) বলেছেন,  প্রবাসীরা দেশের অর্থনৈতিক মুক্তিযোদ্ধা। আর মানব পাচারকারীরা মানবতাবিরোধী। লিবিয়ায় বাংলাদেশী তরুনদের নির্মম হত্যাযজ্ঞ ইতিহাসে নৃশংস গণহত্যা হিসেবে বিবেচিত হবে।তবে দেশীয় মানব পাচারকারীরা দেশ ও মানবতার শত্রু দেশের সর্বোচ্চ আইনে এদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিৎ।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, প্রধান অতিথি আরো বলেন, দেশে বেকার যুবকরা সংস্থানের অভাবে জীবন জীবিকার জন্য বিদেশ গিয়ে হত্যার শিকার হচ্ছেন। এ হত্যার বিরুদ্ধে সরকারের আরো কঠিন পদক্ষেপ নেয়া দরকার। অন্যথায় ভবিষ্যতে আরো বেশী মানব পাচার ও হত্যার মত ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি সম্প্রতি মানব পাচারকারী চক্রের মূলহোতাদের গ্রেফতার ও যথা সময়ে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত মামলার ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সরকার ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, গত বছরেই মানব পাচার আইনের গেজেট প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু এক বছর না যেতেই এমন হত্যা আইনের দুর্বলতা কিনা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।

রোববার (৭ জুন) সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার উদ্যোগে লিবিয়ায় প্রবাসী গণহত্যায় জড়িত মানব পাচারকারীদের শাস্তি ও নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এশিয়ান মানবাধিকার সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান মো. হাসমত উল্লাহ এর সভাপতিত্বে ও সংস্থার মহাসচিব নজরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. সুকমল বড়–য়া (একুশে পদকপ্রাপ্ত)।বিশিষ্ট কলামিস্ট এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া তার বক্তব্যে বলেন অভিবাসী শ্রমিকদের স্বার্থ ও নিরাপত্তা বিধানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দায়িত্বহীন ভূমিকা পালন করেছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দূতাবাসসহ বিদেশে শ্রমিক পাঠানো এজেন্সীও মানব পাচারকারীদের আইনের আওতায় আনা উচিত।এসময় বক্তব্য রাখেন এশিয়ান মানবাধিকার সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান আবু মোজাফফর মো. আনাছ, বিশিষ্ট কলামিস্ট ও রাজনীতি বিশ্লেষক এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বেপারী, সালমান ওমর রুবেল, বাবু সুরঞ্জন ঘোষ, শেখ জামাল উদ্দিন, রাইসুল ইসলাম চন্দন, সদস্য নুর মোহাম্মদ সুমন, মো. সোহেল রানা সহএশিয়া মানবাধিকার সংস্থার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More