প্রবাসী স্বামীর দায়ের করা মামলা : স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক  মহুরী বেল্টু গ্রেফতার

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: প্রবাসী স্বামীর দায়ের করা টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলায় স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরিষাডাঙ্গার কথিত মহুরী বেল্টু গ্রেফতার। গত বুধবার রাতে আলমডাঙ্গা থানার এস আই আমিনুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে বেল্টুর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।
জানাগেছে, উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের মৃত আজিজুল হক মেম্বারের ছেলে প্রবাসী শামিম রেজার সাথে প্রায় ৭ বছর পূর্বে একই উপজেলার মুন্সিগঞ্জ জেহালা বাবুপাড়ার মৃত ইমরান হোসেনের মেয়ে নিলুফা ইয়াসমিন রিক্তার (২৮) বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর শামিম তার স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে মালয়েশিয়ায় টাকা উপার্জনের উদ্দেশ্যে ফিরে যায়। বিদেশ গিয়ে স্ত্রী রিক্তার খরচ ও টাকা জমানোর জন্য স্ত্রীর নামে মুন্সিগঞ্জ সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠাতেন। ৭ বছর বিদেশ থাকাকালীন মাঝে ২ বার শামিম বাড়ি এসে ঘুরে যান। ৭ বছরে জমি ক্রয় করে বাড়ি করা ও স্ত্রীর খরচের জন্য শামিম প্রায় ১৪-১৫ লাখ টাকা রিক্তার নামে পাঠান। এরই মধ্যে রিক্তার পেশকারের চাকরির জন্য কথিত মহুরী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরিষাডাঙ্গার মৃত শফিউদ্দিনের ছেলে বেল্টুর সাথে যোগাযোগ করে। একপর্যায়ে রিক্তার সাথে বেল্টুর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শামীম গত ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে বাড়ি চলে আসে। শামীম বাড়ি আসার পর রিক্তা ও বেল্টু কৌশলে চাকরির জন্য আবারও প্রায় ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। চাকরির জন্য টাকা নেয়ার কয়েক মাস পর চাকরি না হলে শামিম বিদেশ থেকে তার পাঠানো টাকার হিসাব চান। টাকার হিসেব না দিয়ে বাড়ির সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে বেল্টুর সাথে যোগাযোগ করে রিক্তার তার ব্যবহারের সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান। শামিম কয়েকবার তার স্ত্রীকে আনতে গেলে রিক্তা তার সংসার করবে না এবং টাকা পয়সার হিসেব দেবে না বলে জানিয়ে দেন। পরে শামীম বাধ্য হয়ে বেলগাছী ও জেহালা ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়ের করে। সেখানে কোনো সুরাহা না হওয়ায় পরে আলমডাঙ্গা থানায় টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার ২নং আসামি হিসেবে আলমডাঙ্গা থানার এস আই আমিনুল ইসলাম বেল্টুকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। সংশ্লিষ্ট মামলায় ২৩ জুলাই তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More