চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপি মাঠের সমতল জমিতে জেবিএম ইটভাটা : ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানার পরও বন্ধ হয়নি কার্য্যক্রম

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপির ছিলন্দিপাড়া-গবরগাড়া ও গহেরপুর তিন গ্রামের মধ্যবর্তী নির্জন মাঠে গড়ে উঠেছে জেবিএম নামের ইটেরভাটা। এ ইটভাটার আওতায় ব্যবহৃত হয়েছে প্রায় ১০ একর সমতল ফসলি জমি। তিন ফসলি এসব জমিতে ইটভাটা গড়ে ওঠায় কোনো প্রকার চাষাবাদ করার সুযোগ নেই। ইটভাটার ম্যানেজার জাফর আলী জানালেন সবকিছু ম্যানেজ করেই চলছে এ ইটভাটা, তৈরি হচ্ছে ইট। এরই মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা জরিমানা দিলেও বন্ধ হয়নি ইট প্রস্তুত।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের গবরগাড়া গ্রামের বাচ্চু সরকার ছিলন্দিপাড়া-গবরগাড়া ও গহেরপুর তিন গ্রামের মধ্যবর্তী নির্জন সমতল ফসলি জমিতে গড়ে তুলেছেন জেবিএম নামের একটি ইটভাটা। আর এ ভাটার আওতায় প্রায় ১০ একর সমতল তিন ফসলির জমি ব্যবহার করা হয়েছে। কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করে বলেছেন, ইটভাটার ট্রাক্টরগুলো মাঠের রাস্তা দিয়ে চলাচলের কারণে ধুলার আবরণ উড়ে আবাদি জমিতে থাকা ধান, ভুট্টাসহ অন্য ফসলের পাতার ওপর পড়ছে। তাতে করে সূর্যের রশ্মির শ্লালেকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। শুধু তাই-ই না ইটভাটার আশপাশের জমির ফসলও হুমকির মুখে পড়বে বলে চাষিরা মনে করছেন।
এদিকে ইটপ্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপন স¤পূর্ণ নিষিদ্ধ। এছাড়াও ইউনিয়ন বা গ্রামীণ সড়ক থেকে অন্তত আধা কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। আইন থাকা স্বত্বেও তা মানা হচ্ছে না। এরই মধ্যে অবৈধভাবে ইটভাটা চালানোর অপরাধে ১ লাখ টাকা জরিমানাও গুণেছেন বাচ্চু সরকার।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আতাউর রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভাটা মালিক বাচ্চু সরকার বলেন, আইনকানুন সম্পর্কে বলতে পারবো না। তবে এ ভাটার কারণে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। ইটভাটার ম্যানেজার বলেন, সবকিছু ম্যানেজ করেই ভাটা চালাচ্ছি। কয়েকদিনর মধ্যে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্রও পেয়ে যাবো।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More