চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১১ জন প্রার্থীর মনোনয়পত্র জমা
বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আরও ৩ জন মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন। এনিয়ে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১০ জন মেম্বার প্রার্থী তাদের মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন রির্টানিং কর্মকর্তার নিকট। এখন পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, পুরুষ সদস্য পদে ৩৩ জন এবং মহিলা সদস্য পদে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেছেন। এনিয়ে চেয়ারম্যান, মেম্বার (পুরুষ) ও মহিলা মেম্বার নিয়ে মোট ৪৪ প্রার্থী মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেছেন। এদিকে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আ.লীগের দলীয় প্রতীক পেয়েছেন তিতুদহ ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি শুকুর আলী। এখন দেখার বিষয় নৌকার বিপক্ষে প্রার্থী থাকছেন কারা।
এর আগে গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ূয়া স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। এতে বলা হয়, সপ্তম ধাপের ১৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়বেন তারা।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে গতকাল শুক্রবার আরও ৩ জন পুরুষ সদস্য প্রার্থী রির্টানিং কর্মকতার নিকট মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন। এনিয়ে চেয়ারম্যান পদে ১ জন, সাধারণ সদস্য পুরুষ পদে ৯ জন এবং ১ জন মহিলা সদস্য তার মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপি, জাতীয়পার্টি কিংবা জামায়েত ইসলামীর কোনো প্রার্থী না থাকায় সকলের দৃষ্টি ছিলো আ.লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা পাচ্ছেন কে? সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত আ.লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা পেয়েছেন তিতুদহ ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি শুকুর আলী। তিনি বলেন, অনেক বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে আমাকে দলীয় প্রতীক নৌকা দেয়ায় আমি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আ.লীগের নেতৃবৃন্দের নিকট চিরকৃতজ্ঞ। এখন দেখার বিষয় প্রতি দলীয় প্রতীক নির্ধারণ হয়ে গেছে প্রতীক পাবার আগে প্রার্থীদের দেয়া প্রতিশ্রুতি কে কতটা মেনে চলেন। তবে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, যেহেতু এটা স্থানীয় নির্বাচন। নৌকা যেই পেতো না কেনো প্রার্থী একাধিক থাকতো। কারণ স্থানীয় নির্বাচনে প্রতীকের চাইতে প্রার্থীর আত্মীয়তা, ব্যক্তি ইমেজ বড় একটা ফ্যাক্টর। নৌকার বিপক্ষে কে কে প্রার্থী হচ্ছেন এসব প্রশ্নের উত্তর মেলাতে আগামী ২২ জানুয়ারি মনোনয়পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে দলীয় নেতাকর্মীদের।