আবারও সশস্ত্র হামলার আশঙ্কায় সংবাদ সম্মেলন

চুয়াডাঙ্গায় হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিদের জামিনে মুক্ত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় হত্যা প্রচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জামিন দেয়ায় সম্মেলন বিস্ময় প্রকাশ করে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান। বুধবার বেলা ১২টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাফিজুর রহমান বলেন, শহরের রেলপাড়ায় তার বসতবাড়ির আশপাশে ওই পাড়ার আলামিন শেখের ছেলে এজাহারভুক্ত রনি (৩৫), জা-বকসের ছেলে মিরাজুল ইসলাম কাবা (৪০) ও নান্টু (৩০) এবং আসমান আলী (৫০), শাহাবুদ্দিনের ছেলে লিখন (২০), মোহাম্মদ আলীর ছেলে বাধন (২২), আসমান আলীর ছেলে অন্তিক (২০) ও কদম (২২) নিয়মিত মাদক সেবন ও বিক্রি করে। প্রকাশ্যে মাদক সেবন ও বিক্রির ফলে এলাকা কুলষিত হয়ে গেছে। সেটা বন্ধ করতে তিনি এরই মধ্যে পুলিশের সহযোগিতা পেতে ৯৯৯ ফোন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৭ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ৯টার দিকে সংঘবদ্ধভাবে সশস্ত্র অবস্থায় ওরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়া শেষ করা আমার নাতী হাসিব রেজাকে ব্যাডমিন্টন খেলার সময় হামলা করে। সশস্ত্র হামলা ঠেকাতে গেলে তার হাতের দুটো আঙ্গুল শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সে মুহূর্তে ওই পাড়ার সাচ্চুর ছেলে সাব্বিরকে তারা ধারালে অস্ত্র দিয়ে তার পেটে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সশস্ত্র হামলার সময় চিৎকার চেঁচামেচিতে লোকজন ছুটে এসে হামলাকারীদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। কেউ কেউ পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর হাসপাতালে যাওয়ার পথে আসামি মিরাজুল ইসলাম কাবা, আসমান ও অন্তিক আমার বড় মেয়ে আসমা খাতুন ও আবুল কালামের মেয়ে মৌসুমী আক্তার বিথিকে ধারালো চাপাতি ও রড দিয়ে আঘাত করে। এতে আসমার হাত মারাত্মকভাবে জখম হয়। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর আমি বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করি। কিন্তু হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় অভিযুক্তদের গত ৩১ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ জামিনে আমরা বিস্মিত। এরপর জেলা কারাগার ফটক থেকে তাদের ফুলের মালা পরিয়ে রেলপাড়ায় আনা হয়। তারপর তারা এলাকায় প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে যে, হত্যা করলেও তাদের কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। এই হুমকির ফলে আমরা আবারো সশস্ত্র হামলার আশঙ্কা করছি। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা রেলপাড়ার আসাদুজ্জামান মালিতার ছেলে আখতারুজ্জামান (৫২), একই পাড়ার বাসিন্দা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের ছেলে মাফিদ আল-মিজবা (১৭), আবুল কালামের মেয়ে মৌসুমী আক্তার বিথি (২৫), মরহুম শাহাদত ম-লের ছেলে তাইজেল ইসলাম ও তার মেয়ে তিতাশা (৩৫) ও রওশন আরা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমানের মেয়ে আসমা খাতুন (৪৫)।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More