আলমডাঙ্গার বটিয়াপাড়ায় বিয়ের ৬ দিনের মাথায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়নের বটিয়াপাড়া গ্রামে বিয়ের ৬ দিনের মাথায় নববধূর বিষপানে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে মুমূর্ষ অবস্থায় গৃহবধূকে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দুপুরে লাশ গ্রামের বাড়িতে নিলে পুলিশ গিয়ে বাদ সাধে। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বটিয়াপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে রুকাইয়া খাতুনের (১৮) সাথে একই উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের মালিথাপাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে সৌদি প্রবাসী রুবেলের সাথে ৬ মাস আগে মোবাইল ফোনে বিয়ে হয়। গত শুক্রবার ১শ বরযাত্রীসহ আনুষ্ঠানিকভাবে নববধূকে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বিয়ের ৬ দিনের মাথায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে স্বামী-স্ত্রী গোছলের জন্য বাথরুমে গেলে রুকাইয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি নেয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। লাশ নিয়ে শুরু হয় রহস্য। লাশের সঙ্গে থাকা লোকজনদের আচরণে রহস্যের জাল ঘনীভূত হয়। দুপুরে লাশ গ্রামের নেয়া হয়। বিকেলে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ওসি (অপারেশন) একরামুল হক, এসআই সুফল, পাঁচকমলাপুর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আসের আলী, এএসআই বিকাশসহ সঙ্গীয় ফোর্স বটিয়াপাড়ায় উপস্থিত হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
রুকাইয়া খাতুনের মা রোজিনা খাতুন বলেন, গত এক সপ্তাহ পূর্বে আলমডাঙ্গা উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সৌদি প্রবাসী রুবেলের সাথে আমার মেয়ের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বুধবার দুপুরে আমার জামাই রুবেলের সাথে আমার মেয়ে আমার বাড়িতে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে সকলের অজান্তে নিজ শয়নকক্ষে বিষপান করে। তিনি আরও বলেন, গত এক বছর যাবত আমার মেয়ের মাথায় সমস্যা ছিলো। কবিরাজি চিকিৎসাও চলছিলো। মূলত মাথার সমস্যার কারণেই আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রুবাইয়া খাতুনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
পাঁচকমলাপুর ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আছের আলী বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে রোকেয়া বিষপান করে আত্মহত্যা করেন। তার মাথায় সমস্যা ছিলো বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি আইনগত প্রক্রিয়াধীন ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে এলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More