আলমডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান, দুটি প্রতিষ্ঠানে ২২ হাজার টাকা জরিমানা

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় পঁচা-বাসি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দই, মিষ্টি পরিবেশন এবং নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ভোজ্য তেল বিক্রির অপরাধে দুই প্রতিষ্ঠানে জরিমানা করেছে। সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে ভোক্তাধিকার অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গার সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে আলমডাঙ্গা বাজারের দুটি প্রতিষ্ঠানে ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

হোটেলের ফ্রিজে ও ট্রে-তে সাজিয়ে রাখা বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি ও দই। ক্রেতাদের নিকট বিক্রি হচ্ছে এসব দই মিষ্টি। আস্তা আর বিশ^াসে ক্রেতারা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে পচা আর বাসি মিষ্টি ও দইয়ের বিষয়টি ক্রেতাদের অগোচরে। ভোক্তাধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ অভিযানে সকলের সামনে উঠে আসে আলমডাঙ্গা বাজারের উত্তম মিষ্টান্ন ভান্ডারের আসল চিত্র। দেখা মেলে তার মিষ্টান্ন ভান্ডারের পঁচা-বাসি ও মেয়াদোত্তীর্ণ দই মিষ্টি। অভিযানে প্রায় ২শ কেজি পঁচা-বাসি দই মিষ্টি উদ্ধার করে ধংস করে ফেলা হয়। এসময় উত্তম মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক শ্রী দুলাল চন্দ্র পালকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং তার মিষ্টান্ন ভান্ডার বন্ধ করে দেয়া হয়।

এদিকে সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ভোজ্যতেল বিক্রির অপরাধে বাজারের রেজা স্টোরে অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তাধিকার অধিদফতর। অভিযানে দেখা যায় ১৫৮ টাকা লিটারের তেল কেজিতে বিক্রি করছে ১৮০ টাকা। ভোক্তাধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ অভিযানে রেজা স্টোরের ম্যানেজার মিকাইল হোসেনকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা বাজারের উত্তম মিষ্টান্ন ভান্ডার দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছে। স্থানীয়দের কাছে প্রতিষ্ঠান দুটি খুবই জনপ্রিয়। ফলে পণ্য কেনার সময় তেমন যাচাই-বাছাই করেন না ক্রেতারা। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে পঁচা-বাসি দই মিষ্টি বিক্রি করছিলো উত্তম মিষ্টান্ন ভান্ডার। সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ভোজ্য তেল বিক্রি করে যাচ্ছিলো রেজা স্টোর। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা থানার এসআই প্রিয়তোষ, এসআই দেবাশিস, আলমডাঙ্গা পৌরসভার স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান রানা প্রমুখ।

ভোক্তাধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ বলেন, উত্তম মিষ্টান্ন ভান্ডারে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১৫ দিনের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং রেজা স্টোরের মালিককে সতর্ক করা হয়েছে। আমরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবো। পুনরায় এ রকম অনিয়ম পেলে ভোক্তাধিকার সংরক্ষণ আইনের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More