কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার সদর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের মধুপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত পার্থ সারথী বিশ্বাস (৫০) কুষ্টিয়া আদালতের পেশকার ছিলেন। তার বাড়ি ঝিনাইদহ শহরের গীতাঞ্জলী সড়কের স্বর্ণপট্টি এলাকায়। বৃহস্পতিবার অফিস শেষে রাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে ঝিনাইদহ শহরে ফিরছিলেন তিনি।
কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের এসআই আবদুল খালেক বলেন, রাত ৮টার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন পার্থ সারথী বিশ্বাস। পথে মধুপুরে কোনো এক যানবাহনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তিনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছুনোর আগেই স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আনেন। দুর্ঘটনায় তার দুটি পা থেঁতলে যায়। কী ধরনের যানবাহন পার্থ সারথীকে ধাক্কা দিয়েছিল, সেটি শনাক্ত করা যায়নি জানিয়ে এসআই আবদুল খালেক বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, পেছন থেকে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়া হয়েছিলো। হয়তো ছিটকে পড়ে যাওয়ার পর তার দুই পায়ের ওপর দিয়ে চাকা চলে গেছে। এ ছাড়া শরীরে আর কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। সুরতহাল শেষে পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় রাতেই তার লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় যুবক রাকিব হোসেন বলেন, রাতের বেলা দুর্ঘটনার সময় আশপাশে লোকজন ছিলো না। রাস্তায় পড়ে আহত অবস্থায় ছটফট করছিলেন তিনি। এরপর লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেয়। থেঁতলানো দুটি পা শরীরের সঙ্গে ঝুলছিলো। বসে হালকা নড়ছিলেন এবং কিছু বলার চেষ্টা করছিলেন। কষ্টে তিনি ছটফট করছিলেন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
কুষ্টিয়া আদালতের পেশকার পার্থ সারথী বিশ্বাসের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তার সহকর্মীরা। চাপা দেয়া যানবাহন শনাক্ত করে চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেছেন তারা।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ