কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া সদর শহরের রেজাউল হত্যা মামলায় চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা দেয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদ- প্রদান করেন আদালত। সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে দ-প্রাপ্ত আসামি জিতু, মিতুল ও খলিল উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি জুয়েল পলাতক রয়েছেন।
যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্তরা হলেন, কুষ্টিয়া জেলা শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার শহীদ লিয়াকত সড়কের আব্দুল মোতালেবের ছেলে খলিলুর রহমান। একই এলাকার জামিরুল ইসলাম জাম্বুর ছেলে মীর সাইমুম ওরফে জিতু, মৃত খাদিমুল ইসলাম টুলুর ছেলে জুয়েল রানা এবং মজিবর রহমান জিন্নাহর ছেলে মিতুল। এ মামলায় ৫ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ২২ অক্টোবর বিকেলে কুষ্টিয়া শহরের আড়–য়াপাড়া এলাকার মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে রেজাউলের গলাকাটা মরদেহ একটি ড্রেনে দেখতে পায় স্থানীয়রা। এর চার দিন আগে আসামি জুয়েল রেজাউলের নিকট একটি মোবাইল রেখে ৩০০ টাকা নেন। কিন্তু টাকা ফেরত না দিয়ে মোবাইল ফেরত চান জুয়েল। পরে ২১ অক্টোবর রাতে জুয়েল ও জিতু রেজাউলকে ডেকে নিয়ে যান। পরে আসামিরা ওই রাতেই নির্মমভাবে তাকে হত্যা করে ড্রেনে ফেলে দেন। খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ রেজাউলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠান। এ ঘটনায় ২২ অক্টোবর নিহত রেজাউলের বড় ভাই রবিউল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ২২ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খবির আহমেদ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ১৩ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দেন।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, রেজাউল হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় চার আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ মামলায় ৫ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। দ-প্রাপ্ত এক আসামি পলাতক রয়েছেন।