কোটচাঁদপুর আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী : বিএনপির একক

স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী। এতে বেকায়দায় পড়েছেন নৌকার প্রার্থী। তাদের দলীয় দ্বন্দ্বের কারণে ধানের শীষের প্রার্থী সুফল পেতে পারেন বলে ধারণা সাধারণ ভোটারের। ৩০ জানুয়ারি এ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে চার, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১২ এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভায় এবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান আলী (নৌকা)। তবে বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (নারকেল গাছ) ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সহিদুজ্জামান সেলিম (মোবাইল) প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সালাহউদ্দীন বুলবুল সিডল (ধানের শীষ)।
এদিকে ১১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্ধের পর প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। এরপর থেকে প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ভোট চাইতে গিয়ে স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর একাধিক কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রবিউল নামে একজন যশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এসব ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুবুল আলম বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সালাউদ্দীন বুলবুল সিডল বলেন, নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে ভীতি কাজ করছে। ইতোমধ্যে ভোট না চাওয়া এবং মাঠে না নামতে কর্মীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। তবে ভোট দেয়ার পরিবেশ থাকলে বিজয়ী হবো বলে আশাবাদী।
নৌকার প্রার্থী শাহাজাহান আলী বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ভোটাররা নৌকা প্রতীককেই বেছে নেবেন। নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মাঝে খুশির আমেজ তৈরি হয়েছে। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোট হবে বলে আশা করছি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, বিগত দিনের কর্মকা- বিবেচনা করে ভোটাররা পুনরায় আমাকে নির্বাচিত করবে। তবে, ভোট সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা জানান তিনি।
আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সহিদুজ্জামান সেলিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের সঙ্গে জড়িয়ে আছি। নৌকা প্রতীক না পেলেও করোনার শুরু থেকেই ভয়ভীতি উপেক্ষা করে দিনরাত সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছি। গত পাঁচ বছরে পৌর এলাকায় ড্রেন ও রাস্তাসহ প্রায় ৩০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছি। এসব কারণে পৌরবাসী আমাকে বিজয়ী করবে বলে আশা করি।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More