গাংনী প্রতিনিধি: জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কৃষক সাদেক আলী নিহতের ঘটনায় গাংনী থানায় একটি মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে মামলাটি করেন সাদেক আলীর ভাই আবুল কাশেম। এদিকে হামলার প্রধান আসামি খাইরুলকে কুষ্টিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কুষ্টিয়া থানা পুলিশের একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে। তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, গাংনী থানা পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া সদর থানার একটি টিম হামলাকারী হোগলবাড়িয়া গ্রামের খাইরুলকে আহত অবস্থায় গ্রেফতার করে। তাকে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। তিনিই ছিলেন হামলার পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ হামলাকারী। এ ঘটনায় গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ১৫ বিঘা খাস জমি নিয়ে হোগলবাড়িয়া গ্রামের সাদেক আলী গং ও খাইরুল ইসলাম গংয়ের সঙ্গে বিরোধ চলছিলো একযুগ ধরে। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান। গত বুধবার ওই জমিতে সাদেক আলী গং ধানের চারা রোপণ করেন। বৃহস্পতিবার প্রতিপক্ষ খাইরুল ইসলাম গং ওই জমিতে রোপণকৃত চারা বিনষ্ট করে। গত শুক্রবার সকালে আবারো ওই জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে যান সাদেক আলী গং। এসময় ওৎ পেতে থাকা খাইরুল ও তার লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র এবং লাঠিশোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাদেক আলী। আহত হয় তার সহযোগী আরো ১০ জন।
সূত্র আরো জানায়, হোগলবাড়িয়া গ্রামের মাঠে দুটি মৌজায় ১৫ বিঘা জমি। ওই জমি নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়। দুটিপক্ষ সবসময় একে অপরের ফসল বিনষ্ট করে। এ ঘটনায় মামলা হয়। মামলা থেকে জামিনে এসে তারা আবারো ফসল নষ্ট করার কাজে লিপ্ত হয়।