গাংনীর ধলা রাস্তা পাকাকরণে ব্যাপক অনিয়ম
ঠিকাদারের নাম বলতে মানা প্রকৌশলীর : সাংবাদিকদের ম্যানেজের চেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধলা গ্রামে ব্রিজ থেকে রাধা গোবিন্দপুর ধলা গ্রাম পর্যন্ত পাকা রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গাংনী এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে ঠিকাদার নি¤œমানের উপকরণ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে পার পেয়ে যাচ্ছে। এ অনিয়ম ঢাকতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও ঠিকাদারের নাম গোপন রেখেছেন উপজেলা প্রকৌশলী। তথ্য গোপন করে সাংবাদিককে ম্যানেজ করতে গাংনীর ঠিকাদার মজিরুল ইসলামকে সাংবাদিকদের ম্যানেজের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রকৌশলী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলজিইডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজসে একই সাথে স্থানীয় মেম্বারসহ কতিপয় লোকজনকে ম্যানেজ করেই দাপটের সাথে চলছে ঠিকাদারের কাজ। সাধারণ মানুষ বিষয়টি চোখের সামনে দেখলেও প্রভাবশালী ঠিকাদারের ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না। অবিলম্বে রাস্তা থেকে এসব নি¤œমানের ইট অপসারণ করে উন্নতমানের ইট দিয়ে নতুন করে রাস্তা নির্মাণে সাংবাদিকদের মাধ্যমে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, প্রায় ২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শুরু করে এ রাস্তার কাজ। কাজটি চলতি বছরের আগস্ট মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন অবধি এর ৩০ ভাগ কাজ হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের। ঠিকাদার মজিরুল ইসলামের লোকজন এ রাস্তায় কাজ করছেন। এ কারণে মজিরুল ইসলাম ঠিকাদার হিসেবে এ কাজ বাস্তবায়ন করছেন বলে জানায় এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার কয়েকজন অভিযোগ করে জানান, বৃষ্টি পড়ে রাস্তায় পানি জমে যাচ্ছে। ভালো করে রোলার করা হচ্ছে না। রাস্তায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলেও দেখভালের দায়িত্বে যারা আছেন তারা নীরব ভূমিকা পালন করছেন। অন্যদিকে যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ দিয়ে ঠিকাদারকে অনিয়মে সহযোগিতা করছেন এলজিইডি গাংনী উপজেলা অফিস।
এদিকে, এ রাস্তার কাজের অনিয়মের বিষয়ে গত দুই সপ্তাহ ধরে গাংনী উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করছেন কয়েকজন সাংবাদিক। তিনি তথ্য না দিয়ে বারবার অফিসে চায়ের আমন্ত্রণ জানান। সাংবাদিকরা তার আমন্ত্রণে সাড়া না দিলে তিনি বিকল্প পথ অনুসরণ করেন। এক পর্যায়ে ঠিকাদার মজিরুল ইসলাম মোবাইলে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার মজিরুল ইসলাম জানান, আমার কাজের কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। কয়েক জায়গায় ইট গুড়া হওয়ার কারণে এরকম হচ্ছে।
এলজিইডি গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী গোলাপ আলী শেখ বলেন, অফিসে আসেন বসে কথা বলি। কাজের বিল পরিশোধ হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগের কাজের চেয়ে এখন ওই কাজের পরিধি বেড়েছে। বিল পরিশোধ হয়নি।