স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার অতি পরিচিত মুখ সর্বজন শ্রদ্ধেয় মোখতার আলী স্যার আর নেই (ইন্নালিল্লাহে…..রাজেউন)। গতরাত সাড়ে ৯টায় আকস্মিক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। তার বয়স হয়েছিলো ৭৮ বছর। মোখতার আলী দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে চুয়াডাঙ্গার সব মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাকে এক নজর দেখতে তার চুয়াডাঙ্গাস্থ থানাকাউন্সিল পাড়ায় ভিড় জমান অনেকেই। আজ শুক্রবার বাদজুম্মা মোখতার আলীর দাফন স¤পন্ন হবে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের কয়রাডাঙ্গা গ্রামের মৃত কোরবান আলী ও মৃত ছালেহা খাতুনের ছেলে মোখতার আলী দীর্ঘদিন চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাছাড়া চুয়াডাঙ্গার সাহিত্য জগতেও ছিলো তার বিচরণ। বিশেষ করে রম্য লেখক হিসেবে চুয়াডাঙ্গায় ব্যাপক পিরিচিত ছিলেন তিনি। সর্বশেষ ২০০৩ সালের আগস্ট মাসে কিশোরগঞ্জ জেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন মোখতার আলী। তার সহধর্মিণী মোছা. আছিয়া খাতুনও ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি ২০১৬ অবসর গ্রহণ করেন। মোখতার আলীর স্ত্রী আছিয়া খাতুন জানান, ইতঃপূর্বে মোখতার আলী দুইবার স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকেও তিনি সামান্য আহার করেন এবং কথাবার্তা স্বাভাবিকভাবে বলছিলেন। রাত ৯টার পর তিনি আকস্মিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন মোখতার আলীকে।
সংসার জীবনে মোখতার আলী ছিলেন দুই কন্যাসন্তানের জনক। বড় মেয়ে রোকসানা শারমিন মুক্তি বিবাহিত। ছোট মেয়ে জেনিফার তানজিরা মিষ্টি ছাত্রী। মোখতার আলীর একমাত্র জামাই আলমডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মো. মোহিতুর রহমান মাথাভাঙ্গাকে বলেন, শুক্রবার (আজ) বাদজুম্মা চুয়াডাঙ্গার জান্নাতুল মাওলা কবরস্থান জামে মসজিদে জানাজা শেষে মোখতার আলীকে দাফন করা হবে।