চুয়াডাঙ্গার দৌলাতদিয়াড়ে প্রতীমা ভাঙচুরের অভিযোগ

পুলিশ প্রশাসনসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের ঘটনাস্থল পরিদর্শন
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়া বারোয়ারি মন্দিরে প্রতীমা ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মন্দির কমিটির সদস্যরা গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি জানতে পারেন।
আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানান, কে বা কারা দূর্গার হাতের আঙুল, সাপ ও ময়ুরের মুখ ভাঙচুর এবং বাঘের পা ও ময়ুরের গলায় আঁচড় টেনেছে।
খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, জেলা পরিষদ সদস্য শহিদুল ইসলাম শাহান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আক্তাউর রহমান মুকুল, ইউপি মেম্বার হাবলুর রহমান ও জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কিশোর কুমার কু-ু ও রবিন ঘোষ সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ সুপার জানান, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে শিশু বয়সী কেউ দুষ্টুমির ছলে প্রতীমার হাত থেকে চারটি আঙুল খুলে নিতে পারে। তাছাড়া, বাকিগুলো কাদা মাটি শুকিয়ে বা ঢেকে রাখা কাপড়ের কারণে ফেটে ঝরে পড়তে পারে।
দৌলাতদিয়াড় বারোমারি মন্দিরের সভাপতি সঞ্জয় সাধুখাঁ বলেন, কে বা কারা মন্দিরে ক্ষতি করেছে তা জানিনা। তবে, অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।
দৌলাতদিয়াড় বারোমারি মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক পলাশ বসু বলেন, বিকেলে সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ জগোবন্ধু সরকার মন্দিরের প্রবেশ করে এ ভাঙার ঘটনা দেখতে পান। তবে কারা এসব করেছে, বলতে পারছি না। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করবে। স্থানীয় সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি এবং আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবো। উৎসব সার্বজনীন। এসময় তাৎক্ষণিকভাবে পূজা উদযাপন কমিটি নেতৃবৃন্দের সামনে ১০ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেন। পূজা তৈরীর কাজটি চলমান রাখার কথাও তিনি বলেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More