চুয়াডাঙ্গার শঙ্করচন্দ্র ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক আর নেই

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক (৫৫) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…..ওয়া ইলাহি রাজিউন)। গতকাল বুধবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে ঢাকার হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের প্রায়াত চেয়ারম্যান ও বিএনপির জনপ্রিয় নেতা নুর আলী মিয়ার ছোট ভাই ও শঙ্করচন্দ্র স্কুলপাড়ার মৃত হামিজ উদ্দিনের ছোট ছেলে।
এ ব্যাপারে আব্দুর রাজ্জাকের পারিবারিকসূত্রে জানা যায় গত ১৫এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিঙ্গেদহ বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকাবস্থায় বুকের ব্যথা বেড়ে ছটফট করতে থাকেন। এ সময় তার স্বজনেরা চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর অবস্থা ক্রমেই অবনতি হলে ঢাকায় রেফার করে। ওইদিন বিকেলে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুদিন চিকিৎসার পর কোনো উন্নতি না হলে পরে ঢাকার হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই ৫দিন লাইফ সাপোর্টে রাখার পর গতকাল বুধবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যু খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাক্সক্ষীরা ডিঙ্গেদহ বাজারে তার বাড়িতে ছুটে আসেন। রাত ৯টার দিকে আব্দুর রাজ্জাকের লাশ বাড়িতে পৌঁছুলে এলাকার শত শত মানুষ ছুটে আসে তাদের প্রিয় মানুষটি দেখার জন্য। গতরাত ১১টার সময় শঙ্করচন্দ্র স্কুলপাড়া ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে শঙ্করচন্দ্র সরকারি কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে আব্দুর রাজ্জাক ১ পুত্র সন্তান ও ২ কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
জানাজা পড়ান ভা-ারদহ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল হান্নান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির যুগ্মআহবায়ক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি নজরুল ইসলাম। সদ্য প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাকের স্বজন ও শুভাকাক্সক্ষীরা জানিয়েছে তার মেজ ভাই শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা নুর আলী মিয়াকে সন্ত্রাসীরা ২০০৫ সালের ২২জুন খুন হন। এরপর উপনির্বাচনী আব্দুর রাজ্জাক চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। অত্যান্ত সুনামের সাথে তিনি ৭ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি প্রত্যেক মানুষকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতেন। এছাড়াও তিনি প্রায় ৫ বছর যাবত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। আব্দুর রাজ্জাকের অকালমৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ^াস ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শাহাজাহান মুকুল, জেলা বিএনপির, যুগ্মআহ্বায়ক মজিবুল হক মজু, ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল, জেলা যুবদলের সভাপতি শরিফ উজ জামান সিজার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু ও শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিটন আব্দুর রাজ্জাকের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, আব্দুর রাজ্জাকের এই অকালমৃত্যুতে বিএনপির যে ক্ষতি হলো তা অপূরণীয়। বিএনপি হারালো একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা ও এলাকার মানুষ হারালো তাদের প্রিয় মানুষটিকে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More