চুয়াডাঙ্গার সড়ক-মহাসড়কের গাছগুলো মরণফাঁদে পরিণত

বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা : ঝুঁকিপূর্ণ ও মরা গাছগুলো অবিলম্বে অপসারণের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার সড়ক-মহাসড়কগুলোতে মরা ও ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় এসব সড়কে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহনগুলোকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা মরা ও ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো অবিলম্বে অপসারণ করে জেলার মানুষের জীবন বাঁচাতে প্রশাসনে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট রোডে ১নং পানির ট্যাংকির সামনে একটি বড় ভাটাম (ভেটুল) গাছ, সার্কিট হাউজের পাশের বাগান, যেখানে ঝড়ে গাছ পড়ে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের জাফরপুরে বিজিবির ক্যাম্পের সামনের গাছের ডাল পড়ে এক সাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হন। দামুড়হুদার কোষাঘাটা বিল্ড ভাটার সামনে রাস্তার দু’পাশে বেশ কয়েকটি গাছ রয়েছে। দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডে দুটি বড় মেহগনি গাছ এবং কার্পাসডাঙ্গা রুটে দুটি বড় গাছ। দামুড়হুদা থেকে দর্শনার দিকে যেতে রাস্তার দু’পাশে ছোট বড় অনেক গাছ রয়েছে। জীবননগর উপজেলার উথলী ও মনোহরপুরে কয়েকটা বড় মরা শিমুল গাছ রয়েছে। দৌলাতদিয়াড় বাসস্ট্যান্ড থেকে কুলপালা পর্যন্ত অসংখ্য গাছ রয়েছে। সেই সাথে রাস্তার দু’পাশে ঘন জঙ্গল তো আছেই। যার কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। হতে পারে হতাহতের ঘটনা।
বিশিষ্ট ঠিকাদার গোলাম আযম জানান, দীর্ঘদিন মামলা চালিয়ে গাছগুলোর মালিকানা জেলা পরিষদ পেলেও তা রক্ষায় তেমন ভূমিকা দেখা যায়নি। একের পর এক গাছ উপড়ে ও ডাল ভেঙে আহতের ঘটনা ঘটলেও তাতে কারো টনক নড়েনি।
জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম মইন উদ্দিন মুক্তা বলেন, চুয়াডাঙ্গা শহরের রেলবাজারে বড় দুটি গাছ ও মহাসড়কের দু’ধারে সরকারি ঝুঁকিপূর্ণ মরা গাছগুলো অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। এছাড়া সড়কের দু’পাশে স’মিল ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে গাছের বড় বড় গুড়ি ফেলে রেখে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে থাকে। এতে করে মানুষের প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটে থাকে। সরকারি টানাপোড়নের কারণে মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে। জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি গুরত্ব সহকারে নিয়ে গাছগুলো দ্রুত অপসারণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশাকরি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সড়কের দু’ধারে যেসকল মরা ও ঝুঁকিপূর্ণ গাছ রয়েছে সেগুলো অপসারণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়গুলো আমারও নজরে এসেছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More