চুয়াডাঙ্গায় আইসিইউ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

অচিরেই সরকারিভাবে আইসিইউ কার্যক্রম শুরু করা হবে

স্টাফ রিপোর্টার: মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের শুরু থেকে চুয়াডাঙ্গায় ছিলো না কোনো আইসিইউ ব্যবস্থা। সঙ্কট ছিলো অক্সিজেনেরও। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেন সঙ্কট নিরসন হলেও সঙ্কট ছিলো আইসিইউ’র। চুয়াডাঙ্গাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিলো সদর হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপনের। অবশেষে পূরণ হলো চুয়াডাঙ্গাবাসীর স্বপ্ন। ঢাকাস্থ বেসরকারি সংস্থা সাজেদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা ১৫০ শয্যা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে উদ্বোধন করা হয়েছে আইসিইউ ও এইচডিইউ কার্যক্রমের। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ওই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, আজ চুয়াডাঙ্গাবাসীর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বেসরকারি সংস্থা সাজেদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আইসিইউ কার্যক্রম শুরু করা হলো। সরকারিভাবেও আইসিইউ কার্যক্রম শুরু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদফতরে জানানো হয়েছে। অচিরেই সরকারিভাবে আইসিইউ কার্যক্রম শুরু করা হবে।

সাজেদা ফাউন্ডেশনের চুয়াডাঙ্গার মুখপাত্র ডা. ইয়াছির আরাফাত জানান, সদর হাসপাতালে আইসিইউ ও এইচডিইউ কার্যক্রমের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ওই কার্যক্রমের জন্য ৪৪ জন জনবল রাখা হয়েছে। এরমধ্যে ১০ জন চিকিৎসক, ১৪ জন নার্স, ৭ জন যতœ নেয়া সহকারী, ৬ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ৩ জন নিরাপত্তা প্রহরী, ৩জন গ্রাহকসেবী ও ১ জন হিসাবরক্ষক রয়েছে। আইসিইউতে শয্যা রয়েছে ৬টি এবং হাইডিফেন্ডেন্সি ইউনিটে শয্যা রয়েছে ৮ টি। এখানে রয়েছে ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা, হাইফ্লো মেশিন ও বাইপ্যাট মেশিন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী, সিনিয়র গাইনী কনসালটেন্ট ডা. আকলিমা খাতুন, সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম, সাজেদা ফাউন্ডেশনের চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More