চুয়াডাঙ্গায় জরুরি বিভাগে রোগীর কাছে টাকা নেয়ার অভিযোগ

সত্যতা পেলে কঠোর ব্যবস্থার আশ্বাস তত্ত্বাবধায়কের

স্টাফ রিপোর্টার: অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়া দুই রোগীর কাছ থেকে ১৮শ টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত ¯ে^চ্ছাসেবকদের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রোগীর স্বজনরা। টাকা নেয়া ¯ে^চ্ছাসেবকদের খোঁজে যান জরুরি বিভাগে। তবে রাত ৮টায় শিফট পরিবর্তন হওয়ায় তাদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ফলে ফিরে যান তারা। এদিকে, অভিযোগের সত্যতা পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. আতাউর রহমান।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর জেলার আলহাজ ও রিয়াজ নামে দুজন জীবননগর উপজেলায় নদী খনন কাজে নিয়োজিত। গতকাল  দুপুরে যন্ত্রাংশ কেনার উদ্দেশ্যে জীবননগ থেকে যাত্রীবাহী বাসযোগে চুয়াডাঙ্গা শহরে যাচ্ছিলেন। এ সময় তারা বাসের মধ্যে থেকে শশা কিনে খান। এরপর আলহাজ অচেতন হলে পড়লেও রিয়াজ মোটামুটি সুস্থ ছিল। চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছুলে বাসের হেলপার কোর্ট মোড়ের স্থানীয়দের কাছে দুজনকে হস্তান্তর করেন। পরে তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নেয়া হয়। সেখানে থাকা ¯ে^চ্ছাসেবকরা রিয়াজের নিকট থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা ও চিকিৎসা বাবদ নগদ ১৮শ’ টাকা আদায় করে বলে অভিযোগ করেন তারা। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, জরুরি বিভাগের চিকিৎসা নিতে আসা রোগিদের কোনো টাকা লাগে না। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে সেই সময় জরুরি বিভাগের কর্মরত ¯ে^চ্ছাসেবকদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই সময় ডিউটিরত এক ¯ে^চ্ছাসেবক বলেন,  ১৮০০ টাকা নয়, মাত্র ৮শ’ টাকা নেয়া হয়েছিল ক্যাথিটার (প্রসাবের রাস্তার নল) বাবদ। সেই টাকা সবাই ভাগাভাগি করে নেয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়া আলহাজের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ভর্তি করা হয়েছে। রিয়াজ শঙ্কামুক্ত হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্মস্থলে ফিরেছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. আতাউর রহমান বলেন, জরুরি বিভাগে কর্মরত ¯ে^চ্ছাসেবকদের টাকা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি আমরা তদন্ত করবো। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, খুব শিগগিরই হাসপাতালে একটা কমিটি করা হবে। যাদের কাজ থাকলে দালাল নির্মূল ও ¯ে^চ্ছাসেবকরা যাতে কোনো রোগীর থেকে টাকা আদায় না করতে পারে তারা খেয়াল রাখবেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More