চুয়াডাঙ্গায় নতুন শনাক্ত ৭
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আরও ৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। অপরদিকে দামুড়হুদা উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে ৭ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮শ ৪৮জন। সুস্থ হয়েছেন ১২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১ হাজার ৬শ ৮২ জন। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১১২ জন। এর মধ্যে বাড়িতে রয়েছেন ১০১ জন।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ শুক্রবার নতুন নমুনা সংগ্রহ করেনি। এ দিন পূর্বের প্রেরিত ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষার পাওয়া যায়। কোভিড-১৯ পজিটিভ ৭ জনের জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৩জন, দামুড়হুদা উপজেলার ৩জন ও জীবননগর উপজেলার ১ জন। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় মোট সক্রিয় রোগী ১১৫ জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৭১জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৯জন, দামুড়হুদা উপজেলার ১৫জন, জীবননগর উপজেলার ১৭জন। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৪জনকে ও জীবননগর উপজেলার ১ জনকে ঢাকায় নেয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদরের ৪জন, আলমডাঙ্গার ১জন ও জীবননগরের একজন মোট ৬জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অপরদিকে আমাদের দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল জলিল (৫০) করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে। মৃত আব্দুল জলিল হোগলডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। শুক্রবার সকালে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ইউনিটে ভর্তির পরপরই তার মৃত্যু হয়।
জলিলের পারিবারসূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে তার জ্বর ও সর্দিকাশি দেখা দিলে শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক ডা. অনিত কুমার বিশ্বাস তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ৪র্থ তালায় করোনা ওয়ার্ডে পাঠায়। এর কিছুক্ষণ পর অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট শুরু হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনি মারা যান। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ বলেন, সকালে সে করোনার উপসর্গ নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে করোনা ওয়ার্ডে নেয়ার পর অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট শুরুহলে তার মৃত্যু হয়।