চুয়াডাঙ্গায় পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের এডভোকেসি সভায় জেলা প্রশাসক

যেসব পরিবার পিছিয়ে আছে তাদের সচেতন করে তুলতে হবে
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ (১৮-২৩ ডিসেম্বর) ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ অ্যাডভোকেসি সভার আয়োজন করে।
এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো, ‘পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করি, বাল্যবিয়ে এবং অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণ রোধ করি।’
জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক (চ.দা.) দিপক কুমার সাহা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অ্যাডভোকেসি সভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল হান্নানের সঞ্চালনায় সভায় মেডিকেল অফিসার ডা. বেলাল উদ্দীন স্বাগত বক্তব্য এবং পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে প্রেজেন্টেশন করেন কনসালটেন্ট ডা. শফিকুল ইসলাম। সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শারমিন আক্তার, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহমেমদ, জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা এবং পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কাজ অত্যন্ত সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে। শিশু মৃত্যুরোধ, মাতৃসেবা ও বাল্যবিয়ে অনেক কাজ আন্তরিকতার সাথে করছে। আজকের পরিস্থিতি ১৫ বছর আগের পরিস্থিতি বলা যাবে না। বিয়ে করা বিষয়ে আগে বলা যেতো না। এখন বলা যায়। স্কুলে টয়লেট ফ্যাসিলিটিস দেয়া হয়েছে। মেয়েদের জন্য ন্যাপকিন বিতরণ করা হচ্ছে। আগে সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষ ডাক্তারদের কাছে যেতো না। এখন যাচ্ছে। আগে প্রসূতি মায়েদের গোয়াল ঘরে রাখতো। এখন ভালো ঘরে রাখা হয়। মানুষকে শিক্ষিত হতে হবে, ভালো স্বাস্থ্য হতে হবে। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমানো, উন্নয়নশীল দেশ হতে গেলে সূচকে এগিয়েছি। যেসব পরিবার পিছিয়ে আছে তাদের সচেতন করে তুলতে হবে। প্রচার ও প্রচারণা সপ্তাহে যারা পিছিয়ে পড়েছে বা বাইরে রয়েছে তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক বেড়ে গেছে। খুব অল্প বয়সেই বেশি পরিপক্ক হয়ে গেছে ভার্চুয়াল জগতের কারণে। সে কারণে কৈশোরকালীন ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। স্কুলগুলোতে মেয়েদের ক্লাসে স্বাস্থ্য শিক্ষা সম্পর্কে জানাতে হবে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যে অর্জন তা আরো বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More