স্টাফ রিপোর্টার : চুয়াডাঙ্গায় ৭দিন ব্যাপী ‘ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২১ ’ উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১০টায় সদর উপজেলা ভূমি অফিস চত্বরে ফিতা কেটে , বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে ভূমি সেবা সপ্তাহের প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার উদ্বোধন করেন । এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো ‘বদলে যাচ্ছে দিনকাল, ভূমি সেবা ডিজিটাল।’
উদ্বোধকালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাদিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক ও অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আতিকুল হকের উপস্থাপনায় আলোচনা সভায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন ইমাম রেজাউল করিম। পবিত্র গীতা পাঠ করেন সুশীল কুমার । অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, হাবিল হোসেন জোয়ার্দ্দার ও শাহ আলম সনি বক্তব্য রাখেন।
এসময় সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইশরাত জাহান, আরডিসি জান্নাতুল ফেরদৌস, এনডিসি আমজাদ হোসেন ও সহকারী কমিশনার জাকির হোসেনসহ সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ সেদিন হলো, যেদিন থেকেই ভূমি ব্যবস্থাপনা শুরু হলো। জমির মালিকরা ঘরে বসেই আবেদন করেই সব কাজ করতে পারবেন। ভূমি ব্যবস্থাপনা ওইভাবে ছিলোনা। কালক্রমে ১৮৭৫ সালে সার্ভে এ্যাক্ট চালু হয়। ভূমির খাজনা নিতে দাখিলা লাগবে না। রেজিস্ট্রেশন করলে নিজেরা ঘরে বসেই খাজনা দিতে পারবেন। মিউটেশন করতে পারবেন। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে গেলেও সেবা পাবেন। সেবা সহজীকরণ করে মানুষের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এটাই আশা করবো।
সারাদেশে অনলাইন ভিত্তিক ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ সংক্রান্ত ডাটা এন্ট্রি কার্যক্রম চলমান। সকল ভূমি মালিকগণকে তাদের মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি ছবি, নামজারি খতিয়ানের ফটোকপি/সর্বশেষ খতিয়ানের ফটোকপি, সর্বশেষ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের দাখিলার কপি। সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল সেন্টারে যোগাযোগ করে ভূমির মালিকানা সংক্রান্ত তথ্য অনলাইনে এন্ট্রি দেওয়া নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে অথবা নিজ নিজ ইউনিয়ন/ পৌর ভূমি অফিসে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) দাবি একবার নির্ধারণ হলে সংশোধন করা সম্ভব হবে না।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ