জীবননগর খয়েরহুদায় ৪৭ জনের নমুনা সংগ্রহ : নতুন করে পৌরসভার এক কর্মচারীর করোনা শনাক্ত

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলায় নতুন করে আরও একজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তিনি পৌরসভার একজন এমএলএসএস। গোপনে নমুনা দেয়ার পর গতকাল সোমবারও ওই কর্মচারী যথারীতি অফিস করেছেন। ফলে মেয়রসহ পৌরসভার সকলে করোনার ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। আজ মঙ্গলবার পৌর পরিষদসহ পৌরসভার সকল স্টাফ পরীক্ষার জন্য নমুনা দেবেন। অন্যদিকে উপজেলার সুবলপুর, কয়া ও পাঁকা গ্রামের সেই ৩ জনের দ্বিতীয় মেয়াদের পরীক্ষায়ও করোনা পজেটিভ এসেছে। এ দিকে গতকাল উপজেলার খয়েরহুদায় ৪৯ জনের মধ্যে ৪৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। বাকি ২ জনের নমুনা নিয়ে আজ পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
জীবননগর হাসপাতালসূত্রে জানা যায়, নতুন করে জীবননগর পৌরসভার একজন কর্মচারীর করোনা ভাইরাস পজেটিভ এসেছে। এ নিয়ে জীবননগর উপজেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ জনে। উপজেলার সুবলপুর, কয়া ও পাঁকা গ্রামের করোনা পজেটিভ সেই ৩ জনের দ্বিতীয় মেয়াদের পরীক্ষায়ও করোনা পজেটিভ এসেছে। জীবননগর পৌরসভার একজন কর্মকর্তা জানান, পৌরসভার ওই কর্মচারী নিজের অবস্থানের কথা গোপন রেখে হাসপাতালে নমুনা দিয়ে নিয়মিত অফিস করে। গতকালও তিনি যথারীতি অফিস করেছেন। ফলে পৌর পরিষদসহ পৌরসভার স্টাফদের মধ্যে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে। মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ পৌর পরিষদ ও পৌরসভার স্টাফদের আজ নমুনা নেয়া হবে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জুলিয়েট পারউইন জানিয়েছেন। তিনি জানান, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন স্বাস্থ্য সহকারী করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কেডিকে ইউনিয়নের ৪৯ জন মা ও শিশুর সংস্পৃশে আসেন। সংস্পৃশে আসাদের করোনা পরীক্ষার জন্য গতকাল তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ২ জন ইচ্ছা করে নমুনা দেননি। ডা. জুলিয়েট পারউইন জানান, ওই ২ জন নমুনা না দেয়াতে অন্য ৪৭ জনের নেয়া নমুনা ল্যাবে পাঠানো যাচ্ছে না। ফলে আজ মঙ্গলবার তাদের নমুনা নিয়ে ৪৯টি নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরীতে পাঠানো হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More