ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে শিশুদের নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই ঝিনাইদহ সদর ও শিশু হাসপাতালে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা নিতে আনা হচ্ছে। হাসপাতাল দুটিতেই শিশু ওয়ার্ডে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে শয্যা আছে আটটি। গতকাল সোমবার ভর্তি ছিল ১১৭ শিশু। এর মধ্যে ৯০ জন নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত। বাকি শিশুরা ডায়রিয়াতে আক্রান্ত। এ হাসপাতালে প্রতিদিন আউটডোরে কমপক্ষে ১৫০ নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুকে চিকিৎসাসেবা দিতে আনা হচ্ছে। এর মধ্যে যাদের রোগ জটিল আকার ধারণ করেছে তাদের ভর্তি করা হচ্ছে। বাকিদের ব্যবস্থাপত্র ও কিছু ওষুধ দিয়ে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে।
ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতালে শয্যা আছে ২৫টি। গতকাল সোমবার সেখানে ৪০ জন শিশু রোগী ভর্তি ছিল। তারা সবাই নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত। এ হাসপাতালেও প্রতিদিন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত কমপক্ষে ১০০ শিশুকে অভিভাবকরা নিয়ে আসছেন। তাদের মধ্যে যাদের রোগ জটিল আকার ধারণ করেছে তাদের ভর্তি করা হচ্ছে। বাকিদের ব্যবস্থাপত্র ও কিছু ওষুধ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বড় কামারকু-ু গ্রামের তামান্না বেগম বলেন, তার শিশুকে সাত দিন আগে সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়েছে। নিউমোনিয়া হয়েছে। এখনো ভালো হয়নি। তাদের গ্রামে আরো শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। শৈলকুপা উপজেলার কাতলাগাড়ি গ্রামের হজরত বিশ্বাস বলেন, তার শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়েছে। এ ওয়ার্ডে ডাক্তারের অভাব রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি ডাক্তার বাড়ানোর দাবি করেন। শিশু হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. আলি আহসান ফরিদ (জামিল) বলেন, নতুন চালু হওয়া এ হাসপাতালে শয্যার অভাব রয়েছে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। শয্যা বাড়ানো প্রয়োজন বলে তিনি জানান।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, আগস্ট মাস থেকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এ ওয়ার্ডে বর্তমানে এক জন ডাক্তার আছেন। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার ও নার্সরা। তিনি জানান, ঋতু পরিবর্তনের কারণে শিশুরা নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এ সময় শিশুদের যাতে ঠান্ডা না লাগে সে ব্যাপারে মায়েদের সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেন তিনি।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ