ঝিনাইদহে বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা, হাসপাতালগুলোতে ভিড়

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে শিশুদের রোগব্যাধি বেড়েছে। বিশেষ করে জ্বরের প্রকোপ শুরু হয়েছে। শিশু হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালে শিশু রোগীর আগমন বেড়েছে। প্রতিদিন জ্বর ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত শিশুদের মায়েরা চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসছে হাসপাতালগুলোতে। ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় দেড়’শ মা রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে হাসপাতালের আউটডোরে এসে ভিড় করেছে। শিশুদের বেশির ভাগ জ্বরে আক্রান্ত। ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুও আছে। এ হাসপাতালে বেড আছে ৪০টি। প্রতিটি বেডে রোগী ভর্তি আছে। ঝিনাইদহ উপজেলার ডেফলবাড়িয়া গ্রামের এক শিশুর মা ফাতেমা বেগম বলেন, তার বেবির ১৪ দিন ধরে জ্বর। ৪ দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ডাক্তার বলছেন, টাইফয়েড হয়েছে। ঝিনাইদহ শহরের মহিলা কলেজ পাড়ায় এক মা রাবেয়া খাতুন বলেন, তার বেবির উচ্চ জ্বর। জ্বর কোন সময় ৪-৫ ডিগ্রি উঠে যায়।

হরিণাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের চুমকি খাতুন বলেন, তার বেবির খুব জ্বর ও ঠা-া লেগেছে। ৭দিন ভর্তি করেছেন। এখনো জ্বর সারেনি। তারা বলেন, তাদের এলাকায় আরও শিশু ঠা-া লাগা ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে।

ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতালে কন্সালট্যান্ট ডা. আলি হাসান ফরিদ (জামিল) বলেন, প্রতিদিন ১৪০ থেকে ১৫০ জন শিশুকে মায়েরা চিকিৎসার জন্য আউটডোরে নিয়ে আসেন। যাদের রোগ জটিল তাদেরেকে ভর্তি করা হয়। বাকিদের ব্যবস্থাপত্র ও কিছু ওষুধ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। হাসপাতালে অর্থ বরাদ্দের অভাব আছে। গত অর্থ বছর ওষুধ কিনতে যা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, তা দিয়ে ৬ মাস চলে। বাকি ৬ মাস ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো ডোনেশনের টাকাতে চলে। চলতি অর্থ বছরের ২ মাস পার হয়েছে। এখনো বরাদ্দ আসেনি। হাসপাতালে ডাক্তার নার্সের অভাব নেই। কিন্তু ল্যাব না থাকায় রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা বাইরে থেকে করতে হচ্ছে।

সদর হাসপাতালে শিশু বিভাগের সিনিয়র কন্সালট্যান্ট ডা. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন যাবত শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার শিশু ওয়ার্ডে ৭৬ জন শিশু রোগ ভর্তি ছিল। তাদের মধ্যে ৫১ জন নিউমোনিয়া, ঠা-া জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। ২৫ জন শিশু আছে কম ওজনের ও জন্মকালীন জটিলতায় আক্রান্ত। এ শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলেন, এন্টিবায়োটিকের ব্যাপক অপব্যবহার হচ্ছে।এতে বডি এন্টিবায়োটিক রেজিট্যান্স হয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় এন্টিবায়োটিকে কাজ হচ্ছে না। হাতুড়ে ডাক্তাররা উচ্চ মাত্রার এন্টিবায়োটিক দেদার ব্যবহার করছেন। এটা প্রতিরোধের কোন ব্যবস্থা নেই।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More