দামুড়হুদার জয়রামপুরে হাত-পা বাঁধা শিশু উদ্ধার

রাজবাড়ীর পাংশায় রহস্যজনকভাবে মাদরাসা ছাত্র নিখোঁজ

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার জয়রামপুর কাঁঠালতলা থেকে হাত-পা বাঁধা মাহিন খাঁন (১২) নামের এক মাদরাসা ছাত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের কাঁঠালতলার একটি লেবু বাগান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের কাঁঠালতলাস্থ জনৈক ব্যক্তির লেবু বাগানে হাত-পা বাঁধা একটি শিশুকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। এসময় খবর পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার পাংশা লস্কারপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক আলী খাঁনের ছেলে মাহিন খানকে (১২) উদ্ধার করে থানায় নেয়। হাত-পা বাঁধা শিশু শিক্ষার্থী রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার আজিজপুর হাফিজিয়া মাদরাসার ২য় শ্রেণির ছাত্র। শিশুটির সাথে কথা বলে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে সে জানায়, মঙ্গলবার ক্লাস শেষ করে বেলা ৩টার দিকে সে মাদরাসা থেকে বাইরে খেলতে বের হয়। এরপর মোটরসাইকেলযোগে আসা দুজন তাকে তেলপাম্প দেখিয়ে দিতে বলেন। ওই সময় তেলপাম্প দেখাতে গেলে একজন তার মুখ চেপে ধরে নিয়ে যায়। এরপর কি হয়েছে সে কিছুই বলতে পারে না। শিশুটির বাবা আব্দুর রাজ্জাক খাঁন বলেন, তাদের সাথে কারো কোনো শত্রুতা নেই। কি কারণে কে বা কারা তার ছেলেকে কেনো হাত পা বেঁধে এখানে ফেলে রেখে গেছে কিছ্ইু বলতে পারছে না।

মাহিনের পিতা আব্দুর রাজ্জাক আলী খাঁন বলেন, আমার ছেলে মাদরাসা ছাত্র। মঙ্গলবার মাদরাসায় দুপুরের খাবার খাওয়ার পর থেকে হঠাৎ সে নিখোঁজ হয়ে যায়। আমরা ও মাদরাসা শিক্ষকরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। সারাদিন ও সারারাতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তার কোনো সন্ধান পাচ্ছিলাম না। বুধবার সকালে দামুড়হুদা মডেল থানা থেকে ছেলের সন্ধান দিয়ে থানায় আসতে বলা হয়। বিকেলে থানায় এসে আমাদের কেনো অভিযোগ নেই বলে লিখিত দিয়ে ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছি।

দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই শেখ তৌহিদুর রহমান বলেন, বুধবার সকালে দামুড়হুদার জয়রামপুর কাঁঠালতলায় রাস্তার পাশে হাত-বাঁধা একটি শিশুকে দেখে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়। এরপর খবর পাঠানো হয় শিশুটির পরিবারে। শিশুটির পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় শিশুটিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More