নগর কীর্তন ও প্রসাদ বিতরণের মধ্যদিয়ে শেষ হলো মহানামযজ্ঞ

চুয়াডাঙ্গায় শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞ ও অষ্টকালীন লীলা কীর্তন শেষে প্রসাদ নিতে পূণ্যার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো পাঁচ দিনব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞ। গতকাল শুক্রবার ছিলো মহানামযজ্ঞের শেষ দিন। সকালে নগর কীর্তনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় ৫ম অর্থ্যাৎ শেষ দিনের মহানামযজ্ঞের আরাধনা। ১১টায় শুরু হয় গোস্টলীলা, বিকেল ৫টায় মহাপ্রভুর ভোগ এবং সন্ধ্যায় প্রসাদ বিতরণের মধ্যদিয়ে শেষ হয় শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞ।

প্রসাদ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক এফবিসিসিআই’র সাবেক সহসভাপতি, বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)’র সাধারণ সম্পাদক, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এফবিসিসিআই’র সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান পরিচালক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, তার বাবা অমিয় প্রসাদ আগরওয়ালা, ছোট ভাই পিণ্টু আগরওয়ালাসহ আগরওয়ালা পরিবারের সদস্যরা। প্রসাদ বিতরণের পূর্বে ভক্ত পূজারী ও পূণ্যার্থীদের উদ্দেশে বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা তার মায়ের জন্য আশির্বাদ প্রার্থনা করেন। এর আগে সূর্যোদ্বয়ে প্রস্তাবিত যজ্ঞ বিশ্রাম এবং সকালে ভক্ত-পূজারীদের সঙ্গে নিয়ে নগর কীর্তন হয়। এই মহানামযজ্ঞানুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন পবিত্র কুমার আগরওয়ালা ও নিরঞ্জন কুমার আগরওয়ালা।

শেষ দিনের সন্ধ্যায় পূজারী ভক্ত এবং দর্শনার্থীদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণকালে মহানামযজ্ঞের আয়োজক বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গাসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি জেলার পূজারী, ভক্ত এবং দর্শনার্থীদের সার্বিক সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে ১১তম বার্ষিকী মহানামযজ্ঞ সমাপ্ত করতে পেরে আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনাদের সহযোগিতা থাকলে আগামী বছর ১২তম বার্ষিকীর মহানামযজ্ঞ আরও অধিক সংখ্যক জনসমাগমের মাধ্যমে জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করা সম্ভব হবে বলে আমি আশাবাদী।’

বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা আরও বলেন, ‘দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে অনুষ্ঠানটি সার্থক করে তোলার জন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও চুয়াডাঙ্গার সকল স্তরের মানুষের কাছে আমি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছিলাম। ভগবানের কৃপায় সবাই আমাকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তিনি পুলিশের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এই যজ্ঞস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সার্বিক সহযোগিতার জন্য পাঠিয়েছেন। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান আমাকে ও আমার পরিবারকে এই যজ্ঞ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। তাই ডিসির প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ।’

বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা আরও বলেন, ‘ধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব তো সবার’ তাই তো দলমত-ধর্ম-নির্বিশেষে সকল স্তরের মানুষ এই যজ্ঞে এসেছেন। যেটা সত্যিই ভালো লাগার বিষয়। আমি যেমন চুয়াডাঙ্গাকে ভালোবাসি, ঠিক তেমনি চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসী আমার সকল সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা করেন। তার প্রমাণ পাঁচদিনের যজ্ঞানুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ও সুশৃঙ্খলভাবে যজ্ঞ পরিদর্শন। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ক্ষুদ্র একজন কর্মী হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গার গণমানুষের অনুরোধে এ জেলার উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করেছি। আর যতদিন বেঁচে থাকব, চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গাসহ এ জেলার সাধারণ মানুষের কথা ভেবে তাদের কল্যাণেই কাজ করছি এবং করে যাব। আমি চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাব।’

উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ও তাঁর পরিবারবর্গ প্রতিবছর এই মহানামযজ্ঞের আয়োজন করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত রোববার রাত সাড়ে ১১টায় মঙ্গলঘট স্থাপন ও সংকল্পযাত্রা করে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে ঘটে জল নিয়ে শুভ অধিবাসের মধ্যদিয়ে এই যজ্ঞ শুরু হয়। স্বর্গীয় দোয়ারকা দাস আগরওয়ালা ও স্বর্গীয় পান্না দেবী এবং স্বর্গীয় তারা দেবীর স্মরণে শুরু হওয়া এই মহানামযজ্ঞ গতকাল ভোগ আরতি ও প্রসাদ বিতরণের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More