ভালো কাজে হাত দিলে সে কাজের সফলতা আসবেই

আলমডাঙ্গায় হাসপাতাল স্থাপনের লক্ষে জমি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির আলোচনা সভায় এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় ২০ বেডের হাসপাতাল স্থাপনের লক্ষ্যে জমি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বণিক সমিতির কার্যালয়ে আলমডাঙ্গায় হসপাতাল স্থাপনের জন্য জমি ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে হাসপাতালের জমি ক্রয় কমিটির অনুমতি প্রদান করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। এ সময় তিনি বলেন, আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পর থেকেই আমার একটা স্বপ্ন ছিলো আলমডাঙ্গার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী শহর কেন্দ্রীক ২০ বেডের একটি সরকারি হাসপাতাল স্থাপন করা। সেটা আমি সরকারের ওপর মহলে যোগাযোগ করে ২০ বেডের একটি হাসপাতাল বরাদ্দ করিয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমরা আলমডাঙ্গাবাসী শহর কেন্দ্রীক হাসপাতাল করতে এক হয়েছি। ভালো কাজে হাত দিলে সে কাজের সফলতা আসবেই। আপনারা শহরের আশপাশে নিস্কন্টক জমি দেখেন। জমির দলিলপত্র ও খারিজ ঠিক আছে কিনা দেখে জমি ক্রয় করেন। সবাই মিলে আমরা যদি উদ্দ্যোগী হই হাসপাতাল করা সম্ভব। অনেকের কাছ থেকে সরকারি জমি নেয়ার প্রশ্ন উঠলে তার জবাবে এমপি বলেন, সরকারি জমি নিতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়, হয়রানির শিকার হতে হয়। অনেক সময় লেগে যায়। আমরা হাসপাতাল করতে ঝামেলাই জড়াতে চাই না। নিস্কন্টক জমি দেখে আমরা মালিকের নিকট থেকে জমি কিনে নেবো। তিনি জমি ক্রয় সংক্রান্ত একটি কমিটির অনুমোদন দেন এবং ব্যাংকে একটি একাউন্ট খোলার নির্দেশ দেন।
সভায় বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাসান কাদিন গনু, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি শিক্ষানুরাগী লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, বৃহত্তর কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম রহমান সিঞ্জুল, সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা, বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি হাজি রফিকুল ইসলাম মিয়া, বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম পকু মিয়া, সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী। বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন পাইকারি মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, বৃহত্তর কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আলম হোসেন, ক্রোকারিজ সমিতির সভাপতি মীর ফরহাদ হোসেন, গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সৈয়দ সাজেদুল হক মনি, উপজেলা মিল চাতাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আশরাফুল হক, কাউন্সিলর খন্দকার মজিবুল ইসলাম, পোল্ট্রি খামার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান, কাঁচা বাজার আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইমরুল কায়েস, সম্পাদক সাইদুর রহমান বকুল, বিশিষ্ট সার ব্যবসায়ী জনির উদ্দিন, ঠিকাদার ব্যবসায়ী সাবেক চেয়ারম্যান আজিবার রহমান, বণিক সমিতির সহসভাপতি একে এম এনামুল কবির, কামরুজ্জামান হিরা, সহসাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ, কোষাধ্যক্ষ আলা উদ্দীন, ক্রীড়া সম্পাদক বাবলুর রহমান, ধর্ম সম্পাদক হাফেজ মো. মোতালেব হোসেন, দফতর সম্পাদক আইয়ুবুর রহমান, সদস্য আব্দুল ওহাব, জসিম উদ্দীন, জাহাঙ্গীর আলম, জয়নাল আবেদীন ক্যাপ, ফজলুর রহমান বিশ্বাস, মীর মতিয়ার রহমান, মনিরুদ্দীন, রেজাউল হক তোতা, শফিউল হাসান মিলন ও সিরাজুল ইসলাম। জমি ক্রয় কমিটির আহ্বায়ক বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন এবং বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ আলা উদ্দিনকে যুগ্ম আহব্বায়ক করে একটি কমিটি করা হয়। কমিটিতে এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও পৌর মেয়র হাসান কাদির গনুসগ ২৬ উপদেষ্টা ও ২১ জনকে সদস্য রাখা হয়েছে। তবে ক্রয় কমিটিতে বিশিষ্টজনদের অংশ গ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More