মেহেরপুরে নতুন আক্রান্ত আরও ৪৬ : বাড়ছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সেই সাথে সচেতন মানুষের মাঝে বাড়ছে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা। কিন্তু অনেকের মাঝে নেই কোনো দুশ্চিন্তা। গত ২৪ ঘণ্টায় মেহেরপুর জেলায় নতুন করে ৪৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলায় ২৩ জন, গাংনী উপজেলার ১২ জন ও মুজিবনগর উপজেলা ৯ জন রয়েছেন। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা জেলার দুজন রয়েছেন। এ নিয়ে বর্তমানে জেলায় মোট করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩১৭ জন। গতকাল সোমবার রাতে সিভিল সার্জন ডা. মো. নাসির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মেহেরপুর সিভিল সার্জন অফিস আরও জানায়, ল্যাব থেকে ১০৩টি নমুনা পরীক্ষা শেষে সবগুলো রিপোর্ট মেহেরপুরে এসে পৌঁছে। এর মধ্যে ৪৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৩১৭ জন করোনা রোগীর মধ্যে সদর উপজেলায় ১১৬ জন, গাংনী উপজেলায় ১১৪ জন ও মুজিবনগর উপজেলায় ৮৭ জন রয়েছেন। এছাড়া ট্রান্সফার্ড হয়েছেন ১০৩ জন। এদের মধ্যে সদর উপজেলার ৬৩ জন, গাংনী উপজেলার ১৬ জন ও মুজিবনগর উপজেলার ২৪ জন রয়েছেন। এছাড়া এ পর্যন্ত এক হাজার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। যার মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৫৬ জন, গাংনী উপজেলায় ৩৩০ জন ও মুজিবনগর উপজেলায় ১১৪ জন রয়েছেন। এছাড়া এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩৩ জন। যার মধ্যে সদর উপজেলায় ১৩ জন, গাংনী উপজেলার ১৩ জন ও মুজিবনগর উপজেলার ৭ জন রয়েছেন।
এদিকে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় দফায় উদ্বেগজনক হারে সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে মেহেরপুর সদর উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের গণসচেতনতা ও প্রচারণা অব্যাহত ছিলো। ‘মাস্ক পরার অভ্যেস, করোনামুক্ত বাংলাদেশ’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে মেহেরপুর পুলিশের উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মধ্যে শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতকরণে সচেতনতামূলক কার্যক্রমসহ জনসাধারণের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর পুলিশের একটি দল মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার মোড় এবং পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালান। অযথা ঘরের বাইরে বের না হওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়। একইসাথে সকলকে মাস্ক ব্যবহার করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More