রোগীর পেটে কাঁচিসহ ক্লিনিকের অনিয়ম তদন্তে কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুরের গাংনীর রাজা ক্লিনিকে অপারেশনের পর রোগীর পেটে কাঁচি রেখে সেলাইসহ নানা অনিয়মের বিষয়ে তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী। বুধবার দুপুর ২টার দিকে তদন্ত কমিটি গঠন সংক্রান্ত এই তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি। সিভিল সার্জন বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর গাংনীর রাজা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে রোগীর পেটে কাঁচি রাখার বিষয়টি ভুল ছিল স্বীকার করে ভুক্তভোগীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ক্লিনিকটির মালিক ডাক্তার পারভিয়াস হোসেন রাজা। অপরদিকে বুধবার বিকেলে বাচেনা খাতুনের পেটে থাকা কাঁচি অপারেশনের জন্য চুয়াডাঙ্গা শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেয়া হলে ডায়াবেটিসের মাত্রা বেশি থাকায় অপারেশন করা সম্ভব হয়নি। তবে ওই ক্লিনিকের চিকিৎসক জানিয়েছেন, ডায়াবেটিসের মাত্রা কমে এলে অপারেশন করে পেট থেকে কাঁচি বের করা হবে। এখন তিনি চিকিৎসায় সুস্থ বোধ করছেন। বাচেনা খাতুনের প্রতিবেশীরা জানায়, ডাক্তার যে কাজ করেছে তা ন্যক্কারজনক। এ ধরনের কাজ করলে চিকিৎসকের ওপর থেকে মানুষের আস্থা উঠে যায়। নানা শঙ্কা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে হয় রোগীদের। আর এসব ঘটনা গরিব মানুষের ক্ষেত্রে বেশি ঘটে। গরিব মানুষদের যেনতেন করে অপারেশন করে দিলেই যেন তাদের স্বস্তি। দায়বদ্ধতা বলতে কিছু থাকে না। তারা জানান, বাচেনার পরিবার অতি দরিদ্র। রাজা ক্লিনিকের মালিককে বাচেনার চিকিৎসা ব্যয়সহ ওই অপারেশনের পর যত আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করে দেবার দাবি করেন তারা।
উল্লেখ্য, গাংনীর রাজা ক্লিনিকে পিত্তথলির পাথর অপারেশনের দীর্ঘ ২০ বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার নওদা হাপানিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের স্ত্রী বাচেনা খাতুনের পেটে কাঁচি পাওয়া যায়। গত রোববার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের নিউরোমেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজা নাসিমের কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে তার পরামর্শে এক্স-রে করানো হয়। এক্স-রে রিপোর্টে পেটের মধ্যে ৪/৫ ইঞ্চি’র একটি কাঁচি পাওয়া যায়। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। এ খবর ছাপা হবার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় মেহেরপুরের স্বাস্থ্য বিভাগ নড়ে চড়ে বসে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More