স্থগিত হওয়া ঝিনাইদহ পৌরসভার ভোট ১১ সেপ্টেম্বর

আচরণবিধি প্রতিপালন ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: অবশেষে ঝিনাইদহ পৌরসভার স্থগিত নির্বাচন আগামী ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ জুন এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে ২ জুন নির্বাচন কমিশন এক প্রজ্ঞাপনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মো. আব্দুল খালেকের প্রার্থীতা বাতিল করে দেন। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। শুরু হয় আইনি লড়াই। অপর এক আদেশে গোটা নির্বাচনই স্থগিত করেন নির্বাচন কমিশন। অনিশ্চিত হয়ে পড়ে নির্বাচন। হতাশ হয়ে পড়েন প্রার্থীরা। শেষ পর্যন্ত আপিল বিভাগের রায়ে সব জটিলতার অবসান হয়। নির্বাচন কমিশন আদালতের আদেশ মোতাবেক ভোটগ্রহণের নতুন তারিখ ঘোষণা করেন। ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ সংক্রান্তে আদেশ জারি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভোটগ্রহণের দুই দিন আগে ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৫ প্লাটুন বিজিবিসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। মেয়র পদে লড়ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল খালেক (আওয়ামী লীগ), মো. কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহিদী হিজল (স্বতন্ত্র), মো. মিজানুর রহমান মাসুম (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী) এবং মো. সিরাজুল ইসলাম (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ)। বিএনপি কিংবা অন্যান্য রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। এদিকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরে প্রার্থীরা নতুন করে মাঠে নেমেছেন। চাঙ্গা হতে শুরু করেছেন তাদের সমর্থকরা। প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন যথা সময়ে ভোট গ্রহণ না হওয়ার কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে তাদের। এখন ফের ব্যানার ফেস্টুন লাগাতে হবে। খরচ বাড়বে কয়েকগুণ। এর আগে, চলতি বছরের ১২ জুন একাধিক সংঘর্ষ, আচরন বিধি ভঙ্গসহ নানা কারনে সদর পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল খালেকের প্রার্থীতা বালিত করে নির্বাচন কমিশন। ফলে আইনী জটিলতায় স্থগিত হয়ে যায় ২০২২ সালের ১৫ জুন তারিখের ভোট। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুস ছালেক জানান, ঝিনাইদহ পৌরসভায় মোট ভোটার ৮২ হাজার ৬৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪০ হাজার ৪৪৬ জন ও নারী ভোটার ৪২ হাজার ২৪৯ জন। ইভিএমে ভোট গ্রহণের জন্য ৪৭টি কেন্দ্র ও ২৬৫টি বুথ প্রস্তুত করা হচ্ছে। এদিকে রোববার বেলা ১১টায় ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মনিরা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুস ছালেকসহ সংশ্লিষ্টরা। অনুষ্ঠানে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচনের সব প্রার্থীকে আচরণবিধি সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে। আবারো আচরণ বিধি ভঙ্গের ঘটনা ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন সুন্দর সুষ্ঠু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ভোটারেরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবেন এবং পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More