মেহেরপুরে বিস্ফোরক দ্রব্য সংক্রান্ত মামলার রায় : গাংনীর রায়পুর ইউপির বর্তমান সদস্যসহ ৪ ব্যক্তির ৭ বছরের জেল
মেহেরপুর অফিস: বিস্ফোরক দ্রব্য সংক্রান্ত মামলার রায়ে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য হাসান, একই গ্রামের ইয়াদুল ইসলাম, সুরুজ আলী ও নুহু নামের ৪ ব্যক্তিকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত ইয়াদুল, সুরুজ ও নুহু পলাতক রয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ২য় আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত হাসান গাংনী উপজেলা চাঁদপুর গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে এবং রায়পুর ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য ইয়াদুল ইসলাম, একই গ্রামের নুর বিশ্বাসের ছেলে সুরুজ আলী, শামসুর রহমানের ছেলে ও নুহু আব্বাস আলীর ছেলে। একই মামলায় আরও ১১জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে গাংনী উপজেলার গাংনী মালসাদহ সড়কে একদল দুর্বৃত্ত ডাকাতি ও চাঁদাবাজি করার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল মালসাদহ সড়কে অভিযান শুরু করে। এ সময় ডাকাতরা পুলিশের আগামন টের পেয়ে তাদেরকে লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গুলি শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ হাসান, ইয়াদুল, সুরুজ, নুহুকে গ্রেফতার করেন। এ ঘটনায় গাংনী থানার এসআই জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উৎপাদন আইনের ৩/৪ তৎসহ ৩৯৯/৪০২/৩৫৩/৩৩২ পেনাল কোডে মোট ১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই টিপু সুলতান প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
মামলায় মোট ১৮ স্বাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে আসামি হাসান, ইয়াদুল, সুরুজ ও নূহু দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তাদের প্রত্যেককে ৭ বছর করে কারাদ-াদেশ দেন। অন্যদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত জাহিদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত অপর আসামি ইয়াদুল, সুরুজ ও নুহু পলাতক রয়েছে।
মামলায় সরকার পক্ষে অতিরিক্ত পিপি কাজী শহিদুল হক ও আসামি পক্ষে অ্যাড. জিল্লুর রহমান কৌশুলী ছিলেন।