দামুড়হুদা অফিসঃ দামুড়হুদা উপজেলা জুড়ে লকডাউনের ৭ম দিন ছিলো গতকাল সোমবার। আর এ দিনে লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর ভূমিকায় ছিলো দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন। লকডাউন মানতে অনিহা দেখা যায় সাধারণ মানুষের মাঝে। বিভিন্ন ভূতুড়ে অজুহাতে মানুষ কে অবাদে যানবাহন নিয়ে সড়কে চলাচল করতেও দেখা যায়।
জানা যায়, ১৪দিনের লকডাউন বাস্তবায়নে যখন প্রশাসন বিভিন্ন সড়কে অভিযান চালায় এসময় বিভিন্ন ভূতুড়ে অজুহাতে সড়কে চলাচল কারী যানবাহন চালকদের কে আটক করা হয়। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপ্ত কুমার সিংহ আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন আইনে ১৫টি মামলায় দন্ডিত ব্যক্তিদের কে ২১হাজার ৫’শ টাকা জরিমানা করেন। আদালতে দন্ডপ্রাপ্তরা তাদের উপর অর্পিত জরিমানার টাকা নগদে পরিশোধ করে মুক্ত হয়।
আদালতের বিচারক দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, হার্ডওয়ারের , বাইসাইকেলের, গার্মেন্টস এর দোকান খোলা রাখা, যশোর হতে দর্শনায় বেড়াতে আসা ,কেউ কুষ্টিয়া হতে মাইক্রো করে বেড়াতে এসেছেন, কেউ ফরিদপুর হতে বেড়াতে এসেছেন দর্শনাতে। কেউ কেউ ঘরে মন বসেনা তাই বাজারে বসে আছে। কেউ হালখাতা করেছেন লকডাউন উপেক্ষা করে -অনেকেই এসেছেন হালখাতায় অংশ নিতে – এরকম অসংখ্য অভিযোগে দামুড়হুদা হতে জয়রামপুর, ডুগডুগিবাজার,লোকনাথপুর,দর্শনা বাজার, দর্শনা রেলগেট, -দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড,দামুড়হুদা থানামোড়, দেওলী মোড় পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২ পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও এসময়ে ৭ টি মাইক্রোবাস, ১১ টি সিএনজি, ৭ টা অটো, ১৩ টি মোটরসাইকেল ও ৫ টি ট্রাক ফেরত পাঠানো হয় এবং এদের সকলের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয় । চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কাজে সহায়তা করেন দামুড়হুদা মডেল থানা ও দর্শনা থানা পুলিশ। তবে সোমবার সকালে দামুড়হুদা উপজেলা সদরের প্রাণ কেন্দ্র চৌরাস্তার মোড়ে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের ভূমিকা ছিলো চোঁখে পড়ার মতো।
পূর্ববর্তী পোস্ট
চুয়াডাঙ্গাসহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলার করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হালচিত্র জানলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ