কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৬ জুন) কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. তাপস বলেন, প্রতিদিনই হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবকরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এরই মধ্যে হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড করা হয়েছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামলে নিয়ে সেবা অব্যাহত রাখতে জরুরি বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৬৪ জন এবং হোম আইসোলেশনে রয়েছেন এক হাজার ৪১২ জন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে নতুন করে আরও ৭৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার শতকরা ৩৪ দশমিক ৫২ শতাংশ।
জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৯ ১৩ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ২০০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৮০ জনের।
সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ২২৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় করে সংক্রমণের এ ফলাফল পাওয়া গেছে। ২৫০ শয্যার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল শুক্রবার থেকে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল নামে যাত্রা শুরু করেছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন বলেন, কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে প্রজ্ঞাপন এখনও জারি না হলেও শুক্রবার থেকে কাজ শুরু হয়েছে। এখনও কিছু কাজ বাকি আছে।
এ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার জানান, ২০০ শয্যাকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে বাকিগুলোও করা হবে। তবে বেড ও অক্সিজেনসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি এখনও রয়েছে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের এই ডেল্টা ধরণের কমিউনিটি পর্যায়ে ঊর্দ্ধমুখী সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। হাসপাতালের অন্য রোগীদের কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক হাসপাতাল ও আদ-দ্বীন হাসপাতালে সরিয়ে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্তবর্তী জেলা কুষ্টিয়ায় ২০ জুন মধ্যে রাত থেকে ২৭ জুন মধ্যেরাত পর্যন্ত সাতদিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি দেয় জেলা প্রশাসন। লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ শহরের বিভিন্ন প্রবেশ মুখে চেকপোস্ট বসিয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতও অভিযান পরিচালনা করছে।