দুটি পদ বাদে ইয়াকুব-নঈম প্যানেল নির্বাচিত

চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার ৪ বছর মেয়াদী কমিটির নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অফিসার্স ক্লাবে বিরতীহীনভাবে ভোটগ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে দুটি প্যানেলভুক্ত প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দুটি প্যানেলের ইয়াকুব হোসেন মালিক-নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার প্যানেল নিরাঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। অপর প্যানেলের দুটি পদে দুজন নির্বাচিত হয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার ৪ বছর মেয়াদী কমিটির সভাপতি পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক। সহ-সভাপতি ৪টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৮ জন। এদের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে ইয়াকুব হোসেন মালিক, আব্দুল লতিফ খান যুবরাজ, মাহবুল ইসলাম সেলিম ও সোহেল আকরাম। ইয়াকুব হোসেন মালিক ৭৪ ভোট পেয়ে, আব্দুল লতিফ খান যুবরাজ ৭৬ ভোট, মাহবুল ইসলাম সেলিম ৬৯ ভোট, সোহেল আকরাম ৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। পরাজিতদের মধ্যে এ নাসির জোয়ার্দ্দার পেয়েছেন ৩৭ ভোট, ওবাইদুল হক জোয়ার্দ্দার পেয়েছেন ৪১ ভোট, সরোয়ার হোসেন মধু পেয়েছেন ৪৪ ভোট ও হুমায়ুন কবির মালিক পেয়েছেন ৪৩ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে নঈম হোসেন জোয়ার্দ্দার ৭৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রফিকুল ইসলাম লাড্ডু পেয়েছেন ৩৭ ভোট। অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক ৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হাফিজুর রহমান হাপু পেয়েছেন ৫৬ ভোট। তিনি নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের প্যানেলভুক্ত ছিলেন। কোষাধ্যক্ষ পদে টুটুল মোল্লা ৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফজলুল হক মালিক পেয়েছেন ৪০ ভোট। যুগ্ম সম্পাদক পদে ২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪ জন। এদের মধ্যে আব্দুস সালাম ৭৪ ভোট ও সালাউদ্দিন বিশ^াস ৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। পরাজিত প্রার্থী দুজনের মধ্যে বদর উদ্দীন খান পেয়েছেন ৪১ ভোট ও শামসুদ্দোহা মালিক হাসু পেয়েছেন ৫১ ভোট। উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পদে সংরক্ষিত আসনে তিনজন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে আলমডাঙ্গার খন্দকার জেহাদই জুলফিকর টুটুল ৭৫ ভোট পেয়ে ও চুয়াডাঙ্গা সদরের নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার ৫৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। পরাজিত হয়েছেন এম নুরুন্নবী। তিনি পেয়েছেন ৪৬ ভোট। নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার ছিলেন হুমায়ুন কবির মালিক – রফিকুল ইসলাম লাড্ডু প্যানেলভুক্ত। কার্যকরি সদস্য ১৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ২৮ জন। এদের মধ্যে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম মালেক পেয়েছেন ৭৩ ভোট, দেলোয়ার হোসনে দিলু পেয়েছেন ৭১ ভোট, আজাদ আলী পেয়েছেন ৬৯ ভোট, এখলাস উদ্দীন পেয়েছেন ৬৭ ভোট, তসলিম উদ্দীন পেয়েছেন ৬৯ ভোট, মোমিন খান পেয়েছেন ৭১ ভোট, মহাশিন রেজা পেয়েছেন ৭০ ভোট, রোকনুজ্জামান পেয়েছেন ৬৭ ভোট, রাশিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৬৭ ভোট, রায়হান উদ্দীন পেয়েছেন ৬২ ভোট, শেখ রাসেল পেয়েছেন ৬৮ ভোট, সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ৫৯ ভোট, শিমুল হোসেন পেয়েছেন ৭২ ভোট ও শাহিন কাদির পেয়েছেন ৫৫ ভোট। পরাজিত প্রার্থীদের মধ্যে ইমরান হোসেন ৫১ ভোট, নাফিউল ইসলাম জোয়ার্দ্দার ৪০ ভোট, মেহেরুল্লাহ মিলু ৩৭ ভোট, রাকিবুল ইসলাম ৪৩ ভোট, রুবাইত বিন আজাদ ৪৩ ভোট, সহিদুল কদর জোয়ার্দ্দার ৫০ ভোট, সাইদুর রহমান মালিক ৩৯ ভোট, সাইদুর রহমান ৩৩ ভোট, শাহাজাদী মিলি ৪৪ ভোট, সালাউদ্দীন মোহাম্মদ মর্তুজা ৪৩ ভোট, শাহাবুল হোসেন ৩৪ ভোট, হাফিজুল ইসলাম লাল্টু ৪৯ ভোট, হামিদুর রহমান সণ্টু ৪২ ভোট, হাসানুজ্জামান ৪৬ ভোট পেয়েছেন। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোছা. সেলিনা খাতুন ও নূরুন্নাহার কাকলী।

চুয়াডাঙ্গা ক্রীড়া সংস্থার মোট ভোটার ১১৭ জনের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ১১৬ জন। কোষাধ্যক্ষ পদে একটি ভোট বাতিল হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন। রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এনডিসি আমজাদ হোসেন। প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বপালন করেন সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এএইচএম শামীমুজ্জামান। নির্বাচনে ছিলো উৎসবমুখর পরিবেশ। সকাল থেকেই প্রার্থীদের প্রায় সকলেই ভোট কেন্দ্রের বাইরে উপস্থিত হয়ে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সমর্থকদের মধ্যেও ছিলো কর্মচাঞ্চল্য। ভোটারদের মধ্যে অধিকাংশেরই উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় সকালের দিকে। ভোটগ্রহণের প্রথম দিকেই জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। গোপন ব্যালটে ভোট গ্রহণ শেষে গণনা শুরু হয়। গণনার পর সন্ধ্যায় প্রকাশ করা হয় ফলাফল। ফল পেয়েই সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের পক্ষে আবির মেখে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। নির্বাচনে ইয়াকুব হোসেন মালিক-নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার প্যানেল নির্বাচিত হওয়ায় এ প্যানেলের পক্ষে সকল ভোটারসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। অপরদিকে মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার নির্বাচিত হওয়ায় তাকেও তার সমর্থকেরা ফুল দিয়ে বরণ করেন। এ সময় তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রমকে গতিশীল করার কাজে সহযোগিতার অনুরোধ জানান।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More