সিডনিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্ব শুরু আজ

সুপার টুয়েলভে’র প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড

মাথাভাঙ্গা মনিটর: দুবাইয়ে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ফাইনাল দিয়ে শেষ হয়েছিল ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০২২ আসরের শুরুটা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড লড়াই দিয়েই। সিডনিতে আজ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি ট্রান্স-তাসমান প্রতিবেশীরা। এ ম্যাচ দিয়েই শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্ব।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৫ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের জয় মাত্র চারটি। যার তিনটিই ঘরের মাঠে। অন্যটি ভারতে অনুষ্ঠিত ২০১৬ বিশ্বকাপে। ধর্মশালায় সুপার টেনের ম্যাচে ৮ রানে জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর গত বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে পরাজিত করে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২০১১ সালের পর কোনো ফরম্যাটেই জয় দেখেনি নিউজিল্যান্ড। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে অজিদের কাছে শিরোপা খোয়ায় উইলিয়ামসনের দল।

প্রতিবেশী দেশে পরিসংখ্যান পক্ষে না থাকলেও তবে হাল ছাড়ছেন না উইলিয়ামসন। তিনি বলেন, ‘রেকর্ড যাই থাকুক, জয় পাওয়ার চেষ্টায় আমাদের কোনো ঘাটতি থাকবে না। আমাদের দলে বেশ কয়েকজন ম্যাচ উইনার রয়েছে। আমরা টুর্নামেন্টে ভালো কিছুর জন্য মুখিয়ে আছি।’

অস্ট্রেলিয়ার জন্য ঘরের মাঠে শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। যে চ্যালেঞ্জে আজ পর্যন্ত উতরাতে পারেনি কোনো দল। তবে আশা ছাড়াছেন না ফিঞ্চ। তিনি বলেন, ‘গত টুর্নামেন্ট থেকে আমরা একটা শিক্ষা পেয়েছি। যদি কোনো দল সত্যিকারের বিশ্বাস রাখে তাহলে তারা অনেক দূর যেতে পারে। গতবার অন্যদের কাছে আমরা ফেভারিট না থাকলেও, নিজেদের ওপর বিশ্বাস ছিল আমাদের। আমি অনুভব করি, বিশ্বাসটুকু এবারও আছে আমাদের দলের।’ একদশ কেমন হবে তা গোপনই রাখছেন দুই অধিনায়ক। গোপন রাখার কারণ হলো, আজ সিডনিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে একাদশ সাজাবেন তারা। অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ এতটুকু জানিয়েছেন, তিনি ওপেন করবেন। জশ ইংলিসের জায়গায় দলে আসা ক্যামেরন গ্রিন এই ম্যাচে সুযোগ পাচ্ছেন না সেটিও নিশ্চিত করেছেন ফিঞ্চ। তিনি বলেন, ‘যদি বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে তাহলে আমাদের ব্যাটিং অর্ডারে রদবদল হবে। আমাদের ব্যাটিং অর্ডারে পাওয়ারফুল বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আছে। আমাদের প্রতিপক্ষ তাদের শক্তি কীভাবে ব্যবহার করে সেটি বুঝে নিজেদের অনুকূলে ম্যাচটা নিয়ে আসতে চেষ্টা করবো আমরা।’ আঙুলের চোটে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন অলরাউন্ডার ড্যারিল মিচেল। বাকিরা সবাই ফিট। ফিঞ্চের মতো উইলিয়ামসনও তার দলের একাদশ গোপন রাখছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো পিচ দেখিনি। সকালজুড়ে সেটি আবৃত ছিল। আমরা এখনই একাদশ জানাতে পারবো না। কারণ যদি ম্যাচ ছোট হয়ে যায়, একাদশে পরিবর্তন আসতে পারে।’ ম্যাচের আগে বরাবরই আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে পিচ। সিডনির উইকেট কেমন হবে, তা নিয়ে আগ্রহ সবার। ফিঞ্চের ধারণা, পিচ শুষ্ক হবে। অ্যাডাম জাম্পার সঙ্গে দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে অ্যাশটন অ্যাগারকে খেলাতে পারে অস্ট্রেলিয়া। অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেও সময় সময় কাজে লাগানো যাবে। অস্ট্রেলিয়ার সহকারী কোচ হিসেবে আছেন কিউই কিংবদন্তি স্পিনার ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের ঘায়েল করার পরামর্শ নিতে গতকাল ট্রেনিং সেশনে নিউজিল্যান্ড আমন্ত্রণ জানায় সাবেক অজি স্পিনার স্টিভ ও’কিফকে। বিগ ব্যাশে সিডনি সিক্সার্সের সবচেয়ে সফল স্পিনার ও’কিফ। এই টুর্নামেন্টে যাদের ইকোনমি রেট ৭-এর নিচে, ও’কিফ তাদের একজন। কেন উইলিয়ামসন বলেন, ‘আমাদের দলে কয়েকজন স্পিনার রয়েছে। তাদের সঙ্গে ও’কিফ নিজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছেন। সিডনির কন্ডিশন সম্পর্কে অন্য যেকারো চাইতে অনেক বেশি জানেন তিনি। এই ফরম্যাটে এত অভিজ্ঞ একজন স্পিনারের পরামর্শ নেওয়াটা তাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ।’

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More