আবাসন খাতে এক হাজার কোটি টাকার সরকারি ঋণের প্রস্তাব

স্টাফ রিপোর্টার: আবাসন শিল্পকে উজ্জীবিত করতে ঢাকাসহ দেশের সব মেট্রোপলিটন শহর, নগর ও পল্লী এলাকায় এক হাজার কোটি টাকার সরকারি ঋণ প্রদানের প্রস্তাব করেছে হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি)। করোনা মহামারীর কারণে একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি দুই বছরের জন্য ৫ শতাংশ সুদে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা এবং ইতিমধ্যে যেসব ঋণগ্রহীতা ঋণ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের মূল সুদের ওপর ১০ শতাংশ প্রণোদনা দেয়ারও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি এসব পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিএইচবিএফসি। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অরিজিৎ চৌধুরী জানান, বিএইচবিএফসির প্রস্তাবটি নিয়ে তারা সভা করেছেন। সভায় সুদের হার কমানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতামত গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। জানা গেছে, করোনা মহামারীর কারণে দেশের আবাসন খাতের ক্ষতি মোকাবিলায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি তিন ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে বিএইচবিএফসি প্রস্তাবপত্রে। ওই প্রস্তাবে করপোরেশন বলেছে, মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বর্তমানে তাদের যে ৭ থেকে ৮ শতাংশ সুদে ঋণ কার্যক্রম রয়েছে, সেটি তারা ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায়। এ ছাড়া আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের ঋণ পরিশোধে উদ্বুদ্ধ করার জন্য চার্জকৃত সুদের ওপর ১০ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিতে চায়। এ জন্য তাদের ১০০ কোটি টাকা ভর্তুকির প্রয়োজন হবে বলে প্রস্তাবপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, প্রণীত এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতারা ঋণ পরিশোধে উদ্বুদ্ধ হবেন, ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গ্রামমুখী মানুষের আবাসন সমস্যা সমাধানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। নির্মাণ শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং সামগ্রিক আবাসন খাতের কার্যক্রম বেগবান হবে। বিএইচবিএফসি’র একজন কর্মকর্তা জানান, তারা চলতি বছরের জুন থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত দুই বছরের জন্য ৫ শতাংশ সুদে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছেন। বর্তমানে তাদের পল্লীমা ও কৃষক আবাসন ঋণ কার্যক্রমে ৭ ও ৮ শতাংশ হারে সুদ কার্যকর রয়েছে। এ ছাড়া মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ ঋণ কার্যক্রম ‘শূন্য ইক্যুইটি ঋণ’ এর সুদহারও ৮ শতাংশ। এই তিনটি ক্ষেত্রেই দুই বছরের জন্য সুদ হার ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব রয়েছে। সুদ বাবদ এই ছাড়ের জন্য মোট ১০০ কোটি টাকা ভর্তুকি প্রয়োজন হবে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, সরকারের বিশেষ তহবিল থেকে তারা এই বরাদ্দ চেয়েছেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More