আসকারির হাতিয়ে নেয়া ৬ কোটি টাকার খোঁজে পুলিশ

এখনও অজানা ভুয়া নবাবের আসল পরিচয় : গ্রেফতারকৃত ৪ জনের মধ্যে ৩ জন তার আপন ভাই

স্টাফ রিপোর্টার: পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকার নবাব পরিবারের বংশধর অর্থাৎ নওয়াব সলিমুল্লাহর নাতি হিসেবে পরিচয় দেয়া আলী হাসান আসকারির ঠাঁই হলো  জেলহাজতে । গত সোমবার ভূয়া নবাব আসকারি ও তার ৫ সহযোগীকে আদালতে পাঠালে, আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের কর্মকর্তারা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে ঢাকার নবাব পরিবারের বংশধর অর্থাৎ নওয়াব সলিমুল্লাহর নাতি হিসেবে পরিচয় দেয়া নবাব আসকারির প্রতারণা শিকার হয়েছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। যাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করে ভুয়া নবাব ও তার চক্রের সদস্যদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন অন্তত ২০ জন ভুক্তভোগী। আসকারি সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নার্স পাঠানোর কথা বলে ফেনীর ৪শ’ ব্যক্তির কাছ থেকে ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আরো কয়েকটি দেশে লোক পাঠিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে এসব টাকা হাতিয়ে নেন।

পুলিশের সিটিটিসির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভুয়া নবাব আলী হাসান আসকারি ও তার চক্রের হাতিয়ে নেয়া ৬ কোটি টাকার খোঁজ করা হচ্ছে। এছাড়া সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এ চক্রের যে দালাল রয়েছে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পুলিশের সিটিটিসির একজন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, আলী হাসান আসকারি ঢাকার নবাব এস্টেটের সম্পত্তির মধ্যে শাহবাগের একটি অংশের মোতাওয়াল্লি হওয়ার জন্য ভূমি অফিসে দুটি মিসকেস (৭০৭/২০২০, ৮৯০/২০২০) করেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে নবাব এস্টেটের কিছু সম্পত্তির মোতাওয়াল্লি হওয়ার জন্য তিনটি মিসকেস (৬৬৬/২০২০, ৬৬৭/২০২০, ৬৬৮/২০২০) করেন। বর্তমানে এসব সম্পত্তি ভূমি সংস্কার বোর্ডের অধীনে কোর্ট অব ওয়ার্ডসের মাধ্যমে দেখভাল করা হয়। নবাব পরিবারের বংশধর না হওয়া সত্ত্বেও তিনি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ঢাকার নবাব এস্টেটের সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা করেন।

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ভুয়া নবাব আসকারি জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে ঢাকার নিকুঞ্জ এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে নিজের নামে নবাব খাজা আলী আহসান আসকারি নাম দিয়ে একটি জন্মনিবন্ধন সনদ নেন। সেই জন্ম নিবন্ধনের ভিত্তিতে তিনি নবাবের বংশধর হিসেবে পরিচয় দেয়া শুরু করেন। ২০১৫ সালে তিনি ঢাকার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে একটি পাসপোর্ট সংগ্রহ করেন। জন্মনিবন্ধন ও পাসপোর্ট দিয়ে তিনি ২০১৭ সালে আবেদন করে নবাব খাজা আলী হাসান আসকারি নামে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেন।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা আরো জানান, ভুয়া নবাব তার স্ত্রীর নাম-পরিচয়ও বদলে দিয়েছেন প্রতারণার মাধ্যমে। বিশেষ করে ২০০৮ সালে চুয়াডাঙ্গা সবুজপাড়ার মেরিনা আক্তার হেনা নামে এক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। তবে ২০১৭ সালে তিনি নাম বদলে সাহেদা হেনা আসকারি হিসেবে জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়েছেন।

এছাড়া এএসসি ও এইচএসসির সনদেও মেরিনা তার নাম পাল্টে ফেলে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের কাছে আবেদন করে নতুনভাবে সকল সনদ সংগ্রহ করেছিলেন। তবে কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়া কীভাবে বোর্ড পরিবর্তিত নামে মেরিনাকে সনদ দিয়েছিলো সে বিষয়টি জানতে পুলিশের পক্ষ থেকে শিক্ষাবোর্ডে চিঠি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিটিটিসির কর্মকর্তারা।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আরো বলেন, নবাবি এস্টেট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ২০০৯ সালে গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিলো। তাতে বলা হয়, কামরুল হাসান হৃদয় নামে এক প্রতারক ভুয়া ও জাল নথিপত্র দিয়ে নবাবের অনেক সম্পত্তি দখল করে নেয়ার পাঁয়তারা করছে।

এখন পুলিশের ধারণা, তাদের হাতে গ্রেফতার হওয়া আলী হাসান আসকারি প্রতারক কামরুল হাসান হৃদয় হতে পারেন। যদিও পুলিশি রিমান্ডে আসকারি দাবি করেন, তিনি কামরুল হাসান নন। তবে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসকারি যে পাঁচ সহযোগীসহ গ্রেফতার হয়েছেন তাদের মধ্যে তিনজন তার আপন ভাই রয়েছেন।

তারা হলেন রাশেদ ওরফে রহমত আলী ওরফে রাজা, মো. আহাম্মদ আলী ও বরকত আলী ওরফে রানা। আবার তিন সহোদর দাবি করছেন, কামরুল হাসান হৃদয় নামে তাদের এক ভাই ছিলো, যিনি সৌদি আরবে মারা গেছেন। তবে সৌদি আরবে কবে কীভাবে মারা গেছেন, সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি তারা। পুলিশের ধারণা, গ্রেফতার রাজা, আলী ও রানার বড় ভাই ভুয়া নবাব আলী হাসান আসকারি। তিনিই কামরুল হাসান হৃদয়।

তার ফেসবুক আইডি ‘নওয়াব আলী হাসান আসকারি’ নামে। পরিচিতি হিসেবে তার ব্যাপারে লেখা রয়েছে- ‘মুঘল প্রিন্স আওরঙ্গজেব’, ‘পাবলিক ফিগার ইউনাইটেড ন্যাশন্স অ্যান্ড স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’। বসবাসের ঠিকানা আমস্টারডাম, নেদারল্যান্ডস। গত রোববার পর্যন্ত ১৪ হাজারের বেশি মানুষ ফেসবুকে তার ‘বন্ধুর’ তালিকায় যুক্ত হয়েছেন। নিজের ফেসবুক আইডির নিচে নবাব আসকারির একটি উক্তিও আছে। তা হলো- ‘পাহাড় পর্বত আকাশ কেন লক্ষ্যের সীমা হবে? আকাশের ওপারেও নিশ্চয়ই কিছু আছে, আমার লক্ষ্য সেটাই।’ মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু থেকে দেশের অনেক গুণীজন আর প্রভাবশালী ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসংখ্য ছবি আসকারির ফেসবুকে রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই পরিচিতি বহন করে আসা আসকারি আসলে একজন মহাপ্রতারক। রিজেন্টের মোহাম্মদ সাহেদের মতোই আসকারির প্রতারণারও নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। তবে নবাব সলিমুল্লাহর নাতি পরিচয়ধারী এই প্রতারকের প্রকৃত নাম-ঠিকানা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আসকারি শুধু স্বীকার করছেন- তিনি একজন বিহারি। পুরান ঢাকায় তার জন্ম। নবাব পরিবারের সদস্য না হয়েও নবাব পরিচয় দিয়ে মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। নবাবি এস্টেটের সম্পদ দখল করতে ভুল তথ্য দিয়ে জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টও তৈরি করেছেন তিনি। গত বুধবার রাজধানীর মিরপুর থেকে আসকারিকে গ্রেফতার করে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের ইকোনমিক ক্রাইম ও হিউম্যান ট্রাফিক টিম। গ্রেফতার করা হয় তার পাঁচ সহযোগীকেও। এরপর তাদের তিনদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

বিষয়টি তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা জানান, নবাব আলী হাসান আসকারি নামে প্রথমে জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়েছেন এই ভুয়া নবাব। পরে একই নামে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট তৈরি করেন। পাসপোর্ট ও এনআইডিতে আসকারি তার স্থায়ী ঠিকানা দেখান- ‘আহসান মঞ্জিল’। এনআইডিতে অস্থায়ী ঠিকানা হিসেবে লেখা রয়েছে- ১০৭ এ, ৭ নম্বর সেক্টর উত্তরা। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসকারি দাবি করেছেন, ২০০৭ সালে উত্তরার ওই ঠিকানায় তার বাবা আমানুল্লাহ আসকারি মারা যান। যদিও এর স্বপক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া মোটা অঙ্কের লেনদেনের ভেতর দিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করেন ভুয়া নবাব।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আরও জানান, কামরুল হাসান হৃদয় নামে আলী হাসান আসকারীর আরেকটি নাম পাওয়া গেছে। সেটিও যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া তার স্ত্রীর আসল নাম মেরিনা আক্তার হেনা। বাড়ি চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের সবুজপাড়ায়। তার বাবার নাম হাতেম আলী। এক সময়ে পেশায় রিকশাচালক হাতেম আলী পরবর্তীকালে মুদির দোকান দেন। এই হাতেম আলীর মেয়ে মেরিনা আক্তার হাসান আলীকে বিয়ে করে তার নাম-পরিচয় বদলে ফেলেন। মেরিনা যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও এইসএসসি পাস করেন। পরে আগের সার্টিফিকেট বদল করে হেনা আসকারী নাম ধারণ করেন। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ (আলমডাঙ্গা) আসন থেকে হারিকেন প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করেন। নবাব পরিবারের বংশধর না হয়েও নবাব সেজে এসব মিস কেস করার কারণ জানতে চাইলে জিজ্ঞাসাবাদে আলী হাসান তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বলেন, অনেকেই ভুয়া নবাব সেজে নবাব এস্টেটের বিভিন্ন সম্পত্তির মোতাওয়াল্লি হয়েছেন। তিনিও সেই লোভে এসব মামলা করেন। তবে কোনো ফলাফল অনুকূলে নিতে পারেননি। সিটিটিসি কর্মকর্তারা আরও জানান, আলী হাসান আসকারির বাবা ২০০৫ সালে ঢাকার উত্তরায় বসবাসরত অবস্থায় মারা যান বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। পুরান ঢাকার ইসলামবাগে তাদের কাপড়ের ব্যবসা ছিলো। তবে সেসব পরিচয় গোপন করে নিউ ইয়র্কে বেড়ে ওঠা, নেদারল্যান্ডসে বসবাস কিংবা থাকা, ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের পরিচয় ও দুবাইয়ে গোল্ডের ব্যবসা করার কথা বলে মানুষের বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা চালান আলী হাসান।

তদন্তকারী আরেক কর্মকর্তা বলেন, এই ভুয়া নবাব দম্পতি ও তাদের চক্রের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগ আসছে। গতকাল পর্যন্ত এ চক্রের বিরুদ্ধে অন্তত ডজনখানেক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় ইতিমধ্যে চারটি মামলা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, এরই মধ্যে তার প্রতারণার অনেক কাহিনী বেরিয়ে আসছে। সিলেটের বাসিন্দা মো. সাকিবকে বোকা বানিয়ে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন আসকারি। প্রভাবশালীদের ব্যবহার করে ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানার কাজ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ওই টাকা নিয়েছেন তিনি। তবে কোনো তদবির ছাড়াই ১০৮ কোটি টাকার ওই কাজটি পেয়েছিলেন সাকিব। তবে সাকিব বিশ্বাস করেছিলেন, ‘নবাবের’ তদবিরেই কাজটি পেয়েছিলেন তিনি।

গত ২২ মে আসকারি ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। আহসান মঞ্জিলের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি লেখেন- ‘আহসান মঞ্জিল নবাববাড়ি ঢাকা। নবাব সাহেব বলেছিলেন, এদেশের মানুষগুলো অনেক সাদা মনের, এদেশের জনগণকে দিয়ে কোনোদিন নবাব পরিবারের ক্ষতি হবে না। এদেশের মানুষ তাদের জীবনের চেয়েও বেশি নবাব পরিবারকে ভালোবাসে। এই আহসান মঞ্জিল নবাববাড়িতে লুকিয়ে আছে (আমার) মা, বাবা- দাদা, দাদিসহ সকলের ভালোবাসা ও স্বপ্নের কথা, এখানে এলেই সকলের কথা মনে পড়ে, মন খারাপ হয়ে যায়। আমার নাম এই বলে খ্যাত হোক, আমি তোমাদেরই লোক, আর কিছু নয়, এই হোক শেষ পরিচয়।’ ২৫ এপ্রিল আরেকটি ছবিসহ পোস্টে লেখেন, ‘আমেরিকা থেকে আব্বুর পাঠানো এন-৯৫ মাস্ক আজ আইইডিসিআর’র কাছে প্রদান করলাম।’

১৬ অক্টোবর আরেকটি পোস্টে আসকারি লেখেন, ‘সিলেটে রায়হান হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে অভিযুক্ত পুলিশকে দ্রুত গ্রেফতার করা হোক। ফাঁসির দাবি করছি। সিলেটে শাহজালাল (র.) দরগাহ মসজিদে জুমার নামাজ পড়ে পুলিশ হেফাজতে মৃত রায়হানের বাসায় যাই। যে শিশুটির কান্নায় সারাদেশ কেঁদেছে সেই বাবুকে কোলে নিয়ে সান্ত¡না দেয়ার ভাষা খুঁজে পাইনি। শিশুটি জানে না সে পিতৃহারা হয়ে গেছে। সিলেটে আমার সঙ্গে ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর বন্ধু আজাদ ও কাউন্সিলর কামরান ভাই, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ দিদার আলম ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা রিপন মাহমুদ।’ মূলত তাদের বোকা বানিয়েছেন এই ভুয়া নবাব।

কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের ইকোনমিক ক্রাইম ও হিউম্যান ট্রাফিক টিমের এডিসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভুয়া নবাবের আসল পরিচয় পাওয়া এখন চ্যালেঞ্জ। তার প্রতারণার নতুন নতুন কাহিনী বেরিয়ে আসছে। আসলে সে ঢাকার নবাবি এস্টেটের সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা করছিলো।’

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More