ইঁদুরে কেটেছে ৬০ লাখ টাকার এক্সরে মেশিনের তার

ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতালে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে অচল এক্সরে মেশিন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: সরকারি শিশু হাসপাতালের জন্য ২০০৮ সালে লিসটেম-৫০০ মডেলের একটি অত্যাধুনিক এক্সরে  মেশিন পাঠায় সরকার। শিশুদের রোগ নির্ণয় ও সুচিকৎসার জন্য এই এক্সরে মেশিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। ৬ বছর শিশু হাসপাতালের স্টোরে বাক্সবন্দি থাকার পর বহু চিঠি চালাচালি করে ২০১৪ সালে এক্সরে মেশিনটি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে আনার পর দেখা যায় এক্সরে মেশিনের মধ্যে ইঁদুর ঢুকে গুরুত্বপুর্ণ তার ও কম্পিউটারাইজড সিস্টেম নষ্ট করে দিয়েছে। ক্ষুদ্র মেরামত করে চালানোর চেষ্টা করা হলেও মেশিনটির সব অংশ সচল করা যায়নি। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের এক্সরে বিভাগে ৭ বছর ধরে অচল হয়ে পড়ে আছে বিশাল সাইজের এক্সরে মেশিনটি। আগামী জুনে বরাদ্দ আসলে মেরামত করা হতে পারে বলে জানা গেছে। হাসপাতালের এক্সরে বিভাগের দায়িত্বে থাকা শফিকুল ইসলাম জানান, ২০০৮ সালে শিশু হাসপাতালের জন্য সরকার মেশিনটি বরাদ্দ দেয়। ওই সময় এক্সরে মেশিনটি আধুনিক ছিলো। কিন্তু ইঁদুরে মেশিনের তার কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে। এক্সরে মেশিনের ফ্লসকপি সাইট নষ্ট হলেও রেডিওগ্রাফি সাইটটি সচল ছিলো। মেরামতের অভাবে এখন পুরোটাই অচল হয়ে আছে। বরাদ্দ পেলে আগামী জুনে মেরামত করার চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, লিসটেম-৫০০ মডেলের এক্সরে মেশিনটির মূল্য আনুমানিক ৬০/৭০ লাখ টাকা হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতালের প্রধান ডা. আলী হাসান ফরিদ জানান, তিনি ২০২১ সালে যোগদান করেছেন। এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে পারবেন না। তবে শিশু হাসপাতালের জন্য এক্সরে মেশিনসহ বহু যন্ত্রপাতির চাহিদা মন্ত্রনালয়ে দেয়া আছে বলে তিনি জানান। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, এক্সরে মেশিনটি শিশু হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে ছিলো। সেখানেই মেশিনের বিভিন্ন সাইট নষ্ট হয়ে যায়। আমরা এক্সরে মেশিনটি মেরামতের জন্য মন্ত্রনালয়ে চিঠি দিয়েছি। বরাদ্দ আসলে আশা করা যায় সচল হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More