একদিনে ৬০ মৃত্যু, শনাক্ত কমে ১৪৫২

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল ৮টা) আর ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৪৫২ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১১ হাজার ৫১০ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৫ হাজার ১১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৪৫২ জন। পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ৯ দশমিক ৬।

শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল ১১২ জনের সর্বোচ্চ মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এটি দেশে এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে গত ১৬ ও ১৭ এপ্রিল করোনায় ১০১ জন করে মারা যান। আর ১৮ এপ্রিল করোনায় মারা যান ১০২ জন। দেশে প্রথম রেকর্ড মৃত্যু হয় সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিন ৯৬ জনের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ১৪৫২ জন নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৪ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় বাসা ও হাসপাতালে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ হাজার ২৪৫ জন করোনা রোগী।এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৬৭১ জন। ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৮২১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।আর পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ১১৭টি।নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। আর প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে করোনা পরিস্থিতি।
কিন্তু এ বছর মার্চে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে এবার সংক্রমণ বেশি তীব্র। মধ্যে কয়েক মাস ধরে শনাক্তের চেয়ে সুস্থ বেশি হওয়ায় দেশে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে আসছিল। কিন্তু মার্চ থেকে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও আবার বাড়তে শুরু করেছে।গত বছরে এত মৃত্যুর সংখ্যা দেখেনি দেশ। তবে এ বছরই আক্রান্ত ও মৃত্যু রেকর্ড হারে বাড়তে থাকে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More